“Sometimes I am God.
If I say a man dies,
he dies the same day”
উপরের কথাটা কোন সিনেমার বা বইয়ের চরিত্রের কথা বলে মনে হচ্ছে? তাহলে আপনার ধারণা পুরোটাই ভুল! কথাটা পাবলো এসকোবার নামে এক বাস্তব চরিত্রের। অবশ্য পাবলো এসকোবার এর জীবন সিনেমা বা বই এর মূল চরিত্রের চেয়ে কম নয়। তাকে নিয়ে সিনেমা,বই বা ডকুমেন্টারির অভাব নেই ।
‘পাবলো এসকোবার’ পুরো নাম ‘পাবলো এমিলিও এসকোবার গাভিরিয়া’ অবশ্য আরো অনেক নামে অনেকে তাকে চিনে- কিং অফ কোকেন,দ্য লর্ড,দ্য ম্যাজিশিয়ান,দ্য গডফাদার এসবও তারই নাম।
১৯৭০ থেকে শুরু করে ৯০ এর দশক পর্যন্ত আমেরিকা ও কলোম্বিয়া সরকারের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যাথার কারণ ছিল এই পাবলো এসকোবার ও তার প্রতিষ্ঠিত “মেডেলিন কার্টেল” । ঐ সময়ে আমেরিকার মোট কোকেনের ৮০% এর নিয়ন্ত্রন ছিল মেডেলিন কার্টেল তথা পাবলো এসকোবারের হাতে। প্রতিদিন প্রায় ১৫ টন কোকেন সারা পৃথিবীতে সরবরাহ করত তারা । দৈনিক আয় হত মিলিয়ন ডলার । সরকারী হিসাবনুযায়ী ৯০ দশকে শুধুমাত্র এসকোবারের সম্পত্তির পরিমাণই ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার । মেডেলিন কার্টেল মাসিক ২৫০০ ডলার ব্যয় করত শুধুমাত্র টাকা বাধাবার রাবার ব্যান্ডের পিছনে । এত টাকা ব্যাংকে রাখা সম্ভব ছিল না যার জন্য সমস্ত কলোম্বিয়া জুড়ে গর্ত করে স্টোর হাউজ বানিয়ে টাকা মজুদ করে রাখতেন পাবলো এসকোবার । স্টোর হাউজ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইঁদুর খেয়ে ফেলত!
এত প্রভাবশালী,বিত্তবান পাবলোর জন্ম হয়েছিল কলোম্বিয়ার রিওনিগ্রো এলাকার সামান্য এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে । তার বাবা ছিলেন একজন সাধরন কৃষক আর মা স্কুল শিক্ষিকা । সাত ভাইবোনের মাঝে পাবলো ছিল তৃতীয়।
১৯৪৯ সালের পহেলা ডিসেম্বরে জন্ম নেয়া পাবলোর শৈশব খুব একটা ভালো কাটে নি । সাত বছর বয়সে বাসা থেকে এক ঘন্টার দূরত্বের স্কুলে যাওয়ার পথেই একদিন তার জীর্ণ জুতাটা নিঃশেষ হয়ে যায় । ছেড়া জুতা নিয়ে দারোয়ান তাকে স্কুলে ঢুকতে দেয় নি এই কথা সন্ধ্যায় যখন তিনি তার মাকে জানালেন,তখন অনেক কষ্টে কিছু টাকা জমিয়ে ছেলের জন্য নতুন একজোড়া জুতা কিনলেন তার মা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস জুতা দুইটা ছিল ভিন্নভিন্ন সাইজের । ছেলেকে সাথে নিয়ে দোকানে গিয়ে জুতা বদলানোর কথা বললে দোকানদার না করে দেয়। অনেক দুঃখে কষ্টে কেঁদে ফেলেন তার মা,মায়ের চোখে পানি দেখে পাবলো সেদিন বলেছিল “মা তুমি কান্না থামিয়ে দাও,আমি বড় হয়ে তোমাকে এই দোকান কিনে দিবো,তুমি যা চাও তাই দিবো”।
কৃষক বাবার অবহেলা আর অযত্নে পড়াশোনা থেকে স্কুল জীবনেই ছিটকে যেত কিন্তু শিক্ষিকা মায়ের কড়া শাসনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। যদিও সে গন্ডি পার করার আগেই পুরোপুরি জড়িয়ে যান অপরাধ জগতের সাথে। কিশোর বয়স থেকেই নানারকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন পাবলো এসকোবার।শুরুটা হয়েছিল কবরের নামফলক চুরির মধ্য দিয়ে যা তিনি পরিস্কার করে বিক্রি করতেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে। এছাড়াও কবরে স্থাপন করা ভাস্কর্য চুরি,গাড়ি চুরি,নকল লটারী এইসবই ছিল কোকেন সম্রাটের প্রথম জীবনের হাতেখড়ি।
বন্ধুদের বলে বেড়াতেন ২২ বছর বয়সে তিনি লাখপতি হবেন। এসবের পাশাপাশি পড়াশোনাটাও চালাচ্ছিলেন কারণ তার স্বপ্ন ছিল আরো বড়- একদিন হবেন কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট!
ভার্সিটিতে কিছুদিন পড়াশোনা করার পর,পড়ার পাট পুরাপুরি চুকিয়ে দিয়ে শুরু করলেন টাকার পিছনে ছোটা। প্রথম দফাতেই ধণী এক আত্বীয়কে কিডন্যাপ করে মুক্তিপণ হিসাবে নিলেন ১ লক্ষ ডলার আর এরই মাঝে পরিচয় হল কলম্বিয়ার সেসময়ের ড্রাগ লর্ড আলভেরো প্রিটোর সাথে। পদার্পন করলেন কোকেনের দুনিয়ায়,জানলেন কোকেনের অলিগলি।
সেই সময়ে কলোম্বিয়াতে কোকেন তৈরি হত না। কোকা পেষ্ট বিক্রি করে দেয়া হত বলিভিয়া আর পেরুর কাছে তারাই কোকা পেষ্ট থেকে কোকেন তৈরি করে বাজারজাত করত। কোকেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা আর প্রচুর দাম দেখে পাবলো এসকোবার কোকেনের দিকে ঝুঁকে পরেন।
১৯৭৫ সালে মেডেলিন এলাকার কোকা পেষ্ট পাচারকারী ফেবিও রেসত্রেপো খুন হন,ধারণা করা এই খুনের পিছে কলকাঠি পাবলো এসকোবারই নেড়ে ছিল। রেসত্রেপো মারা যাবার পর তার জায়গা দখন করে নেন এসকোবার। প্রথমদিকে রেসত্রেপোর দেখানো পথেই বলিভিয়া ও পেরুর কাছে কোকা পেষ্ট পাচার করত এসকোবার আর সেই অর্থেই গড়ে তোলে কুখ্যাত মেডেলিন কার্টেল।
এরপর নিজেই কোকেন উৎপাদন ও আমেরিকায় সরবারহ শুরু করে এসকোবার। প্রথম চালানটা দেন গাড়ির টায়ারের ভেতর করে । সকল চেক পোষ্টের সৈনিকদের সাথে ছিল মাসিক চুক্তি। এভাবে আর পোষাচ্ছিলো না, নিত্য নতুন আইডিয়া ও রুট বের করতে থাকেন এসকোবার।এরপর তিনি বিমানের চাকার মধ্যে কোকেন পাচার শুরু করলেন । প্রতি চালানের জন্য পাইলটরা পেত পাঁচ লক্ষ ডলার। মানুষের পেটে মাদক পাচারও এসকোবারই প্রথম শুরু করেছিল ।
মাদক চোরাচালানের জন্য কিনেছিলেন অনেকগুলো নিজস্ব বিমান,এমনকি শোনা যায় সাবমেরিনও নাকি কিনেছিলেন কোকেন পাচারের জন্য।
১৯৮০ সালে কলম্বিয়ান সরকার এসকোবারের ১৪২টি বিমান, ২০ টি হেলিকপ্টার, ৩২ টি ইয়াট এবং ১৪১ টি বাড়ি ও অফিস জব্দ করে। তাতেও অবশ্য এসকোবারের গায়ে তেমন একটা আঁচ লাগেনি।
দুনিয়ার সর্বোচ্চ ধনীদের দশজনের তালিকায় নাম উঠে আসে এসকোবারের। তখন তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি ৩০ বিলিয়ন ডলার। এসকোবার তখন থাকেন নিজের এষ্টেট, ‘হেসিয়েন্দা নেপোলেস’ এ। এষ্টেটের আয়তন ২০ বর্গ কিলোমিটার। ভেতরে ব্যক্তিগত এয়ারপোর্ট, বুলরিঙ, গো-কার্ট ট্র্যাক আর ছিলো একটা চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানায় জলহস্তী, জিরাফ, অস্ট্রিচ, এন্টিলোপ সহ বিভিন্ন প্রাণী আর ছিলো নানা জাতের পাখী। ছিলো ডায়নোসরদের প্রমান সাইজের রেপ্লিকা দিয়ে নিজের দুই বাচ্চার জন্যে বানানো থিম পার্ক। এসকোবারের মৃত্যুর পর সরকার এখানকার প্রানীদের সরিয়ে নেয়। শুধু জলহস্তীরা এখনো আছে একই জায়গায় বহাল তবিয়তে।
এসকোবার এর শত্রুদের কাছে তার নৃশংসতা কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলো। কলোম্বিয়ার বেশির ভাগ সৎ রাজনীতিবিদ, বিচারক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা এই মাদক সম্রাটের ভয়াবহ উত্থান ও ক্ষমতাকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ভালো চোখে দেখেনি। এসকোবার এর ক্ষমতা এতোটাই বেশি ছিল যে তাকে আইনের আওতায় আনা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। এসকোবার তার শত্রুকে দমন বা কব্জা করতে প্রথমে তাদের বিশাল অংকের ঘুষ এর লোভ দেখাতো। এতে যদি কাজ না হয় তখন শত্রুকে পরিবার সহ খুন করার নির্দেশ দিতো। এসকোবার কতো খুন এর জন্য দায়ী তা অজানা থাকলেও বলা হয়ে থাকে সে কয়েক হাজার খুন এর জন্য সরাসরি দায়ী।
এসকোবার এর নৃশংসতার শিকার ছিল বিচারক, সাংবাদিক, ম্যাজিস্ত্রেট, পুলিশ এমনকি নিজের দলের লোক পর্যন্ত। তার ভয়াবহ গাড়ি বোমা হামলার শিকার হয়ে অনেক নিরীহ নারী, পুরুষ, শিশু নিহত হয়েছিলো। কলম্বিয়াতে তখন প্রচলিত কথা ছিল- “তুমি যতই ক্ষমতাশালী ও গুরুত্বপূর্ণ হও না কেন যদি এসকোবার তোমাকে খুন করতে চায় কেও তোমাকে বাঁচাতে পারবে না”।
“এসকোবার যে কোন সময়, যে কোন স্থানে, যে কোন শত্রুকে হত্যার নির্দেশ দিতে পারে”।
এই কুখ্যাত কোকেন সম্রাটের নৃশংসতার চরম নিদর্শন ছিল ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট ভবনে হামলা চালিয়ে ১১ জন বিচারককে হত্যা। এছাড়াও ১৯৮৯ এর ২৭শে নভেম্বর এসকোবার এর নির্দেশে একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে হত্যার জন্য আভিয়াঙ্কা ফ্লাইট ২০৩ এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় যাতে ১১০ নিরীহ যাত্রীর সবাই নিহত হয়। যদিও সেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সেই ফ্লাইট এ ছিল না। এছাড়াও কলম্বিয়ার বিচারমন্ত্রি রডরিগো লারা কে এসকোবার এর কিলিং স্কোয়াড খুন করে কারন লারা কলম্বিয়ান কংগ্রেসে এসকোবার এর বিরোধিতা করেছিল। এসকোবার এর নির্দেশে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং মাদক বিরোধী লুই কার্লোস গালান কেও তার নির্বাচনী জনসভাতে প্রকাশ্য হত্যা করা হয়।
মেডেলিন এর গরীব অধিবাসীদের কাছে এসকোবার এর অবস্থান ছিল দেবতার মতো। তাকে মেডিলনের রবিন হুডও বলা হতো। মেডেলিন এর অধিবাসীদের জন্য এসকোবার পার্ক, স্কুল, হাসপাতাল, বিশাল স্টেডিয়াম, চার্চ, গরীব অধিবাসীদের জন্য বিশাল আবাসিক প্রকল্পের জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করেছিল। এসকোবার কে খুন করবার পর বিশ্ব মিডিয়া দেখল একজন কুখ্যাত মাদক সম্রাট এর জন্য মেডেলিন এর সব বয়সী নারী পুরুষ কাঁদছে।
১৯৭৬ সালে এসকোবার তার প্রেমিকা মারিয়া ভিক্টোরিয়া হেনাও কে বিয়ে করে। এসময় এসকোবার এর বয়স ছিলো সাতাশ আর মারিয়ার মাত্র পনেরো। মারিয়ার বাড়িতে এসকোবারের আগে থেকেই যাওয়া আসা ছিলো। মারিয়ার বড় ভাই মারিও ছিলো এসকোবারের অপরাধী দলের সদস্য। সেই পরিবার এ সম্পর্কেই রাজী ছিলোনা, বিয়েতো দূরের কথা। তাই এই প্রেমিক যুগল পালিয়েই বিয়েটা সেরে ফেলে। তাদের দুই সন্তান- ছেলে হুয়ান পাবলো এবং মেয়ে ম্যানুয়েলা।
বাবা হিসেবে কেমন ছিলেন এই প্রসঙ্গে যখন পাবলো এসকোবারের ছেলের কাছে জানতে চাওয়া হয় তখন সে বলে, “বাবা হিসেবে তিনি ছিলেন সেরাদের দলে, তিনি হয়তো জঘন্য অপরাধে হাতকে কলুষিত করেছেন কিন্তু আমার সামনে কাউকে সিগা্রেটের ধোয়া পর্যন্ত ছাড়তে নিষেধ করেছেন” । কোকেন সম্রাট পাবলো নিজেও কখনো কোকেন নেননি শুধুমাত্র ফ্যামিলীর কথা ভেবে । এছাড়াও জীবনদশায় কোন এক সময় পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে থাকার জন্য গোটা পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেন পাহাড়ের চূড়ায় । এক সময় শৈত্য প্রবাহ বাড়তে থাকে, হঠাৎ বুঝতে পারলেন কোলে বসা মেয়ে শীতে কাঁপছে হাতের কাছে থাকা দুই ব্যাগে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার সাথে সাথে পুড়িয়ে দেন মেয়েকে শীতের হাত থেকে বাচাতে ।
এসকোবার ভয় পেতেন দুটি জিনিষ। এক, নিজের বৌ বাচ্চা ছাড়া থাকা আর আমেরিকা এবং কলম্বিয়ান সরকারের মাঝে করা এক্সট্রাডিশন চুক্তি। ধরা পড়লে আমেরিকার জেলে যেতে হতে পারে, এই বিষয়টা তিনি তার সারাজীবনের কোন সময়েই মেনে নিতে পারেন নি।
এই চুক্তির আওতা থেকে মুক্তি পেতে কলম্বিয়ান সরকারকে তার বৈদেশিক ঋণের ১০ বিলিয়ন ডলার চুকিয়ে দেবেন বলে প্রস্তাব করেছিলেন। তাতে অবশ্য কলম্বিয়ান সরকার রাজী হয়নি।
আমেরিকার হাতে তুলে না দেয়া এবং অপরাধ কার্যক্রম কমিয়ে আনার শর্তে এসকোবার আত্মসমর্পনে রাজী হন। তাও সেই আত্মসমর্পন সরকারের কাছে না। তিনি থাকবেন তার নিজের তৈরী করা জেলের ভেতর বন্দী হিসেবে। গার্ড থাকবে তার নিজের এবং জেলের আশেপাশের দুই মেইল ব্যাসার্ধে সরকারী কোন বাহিনীর লোক দেখা যাবেনা, এই ছিলো শর্ত। প্রশাসন তা মেনে নেয়।
এসকোবার থাকতে শুরু করেন তার নিজের বানানো “লা ক্যাথেড্রাল”-এ। সে এক আলিশান ব্যাপার স্যাপার ছিলো। তার ব্যক্তিগত জেলের ভেতর টেলিফোন, টিভি, জিমনেশিয়াম, স্পা, ক্যাসিনো, স্যুইমিং পুল, ফুটবল খেলার মাঠ সব ছিলো। সরকার যখন টের পেয়ে গেলো জেলের ভেতরে থেকে এসকোবার তার কাজকর্ম আরো ভালো ভাবে চালাচ্ছে তখন তাকে সরকারী জেলে পোরার চেষ্টা করে। লা ক্যাথেড্রালে অভিযান চালায়। নয় জন চ্যালা সহ সুড়ঙ্গ পথে পালায় এসকোবার।
লা ক্যাথেড্রাল থেকে পালানোর পর এসকোবারকে ধরার জন্য সরকার থেকে গঠন করা হয় বিশেষ সেল। নাম দেয়া হয় সার্চ ব্লক। লোকাল বিভিন্ন ইনফর্মার থেকে শুরু করে এই দলে ছিলো ইলেকট্রনিক সার্ভেইল্যান্স টীম।
১৬ মাস পর ব্রিগেডিয়ার হুগো মার্টিনেজ রেডিও ট্রায়াঙ্গুলেশন টেকনোলজি ব্যবহার করে এসকোবারের রেডিওটেলিফোন ট্রান্সমিশন ধরতে সমর্থ হন। দেখা গেলো এসকোবার দিব্যি লুকিয়ে আছে খোদ মেডেলিন এর লস ওলিভোস এলাকার মধ্যবিত্তদের থাকার জন্য বানানো এক কলোনীতে। সার্চ ব্লকের আনাগোনা টের পেতেই কলোনীর ছাদ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন এসকোবার। সাথে তার একমাত্র দেহরক্ষী লিমোনে। কিন্তু এসকোবারের পেটে, পায়ে আর কানের নিচে গুলি লাগে।
এসকোবারের মৃত্যু আদতেই পুলিশের বুলেটে হয়েছে নাকি পুলিশের গুলি খাবার পর এসকোবার নিজেই আত্মহত্যা করেছেন- এই রহস্য আজও রয়ে গেছে কারণ কোন এক পার্টিতে তিনি তার বন্ধুদের বলেছিলেন “যদি কখনো দেখি পুলিশের কাছে ধরা দেয়া ছাড়া উপায় নাই আমি আমার কানের নিচে গুলি করে আত্মহত্যা করবো!”
লেখকঃ উজ্জল হুসাইন