অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। জন্মেছিলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসা দিবসে। কে জানে, সেই উপলক্ষেই তার নিন্দুক কম কি-না। ডি মারিয়ার খেলায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ভালোবাসেনি, এমন মানুষ পাওয়া দূষ্কর। সারা মাঠ দাপিয়ে বেড়ান, যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আঁশ- প্রবাদের সার্থকতা তাকে দেখলে বোঝা যায়।
২০১৪ বিশ্বকাপে মেসির চাইতে কোনো অংশে কম পরিশ্রম করেননি ডি মারিয়া। বাঁ পায়ে অক্লান্তভাবে নিজের কাজ করেছেন। ফিরতে হয় খালি হাতে৷ পরিশ্রম আর ত্যাগ থাকলে একদিন হাসি ফুটতেই হয় মুখে, মারিয়ার মুখেও ফুটেছে।
১১ জুলাই, ২০২১ তারিখটিকে আর দশজন আর্জেন্টাইনের মতোন ডি মারিয়াও ভুলবেন না। চাইলেই ভোলা অসম্ভব৷ গোটা ফাইনালে আকাশী নীলেরা ব্যবধান গড়ার মতো সুযোগ একটিই পেয়েছে। বড়ো তারকারা এমন মোক্ষম সময়ের অপেক্ষাতে থাকেন। পেলেন, গোল দিলেন, জিতলেন, জেতালেন। প্রজন্মের আক্ষেপ ঘুচলো এক গোলে, মোহনীয় এক লবে।
গোলের পর মারিয়ার উল্লাস দেখে কে বলবে তারা পেশাদার! আবেগ বাঁধ মানেনি। যেনো চেঁচিয়ে বলতে চাইছেন, উই ক্যান ডু ইট! উই ক্যান! একটি গোলে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেলেন, ইতিহাসের বাগানে ভালোবাসার ফুল ফুটবে অনন্তকাল।