অ্যান্টিগা টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জাই শেষ অব্দি বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে। গতকাল স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও ২১৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোরটা একটু ভদ্রস্থ রূপ পেয়েছে বটে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
এরআগে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানরা প্রথম ইনিংসে করেছিল ৪০৬ রান। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আড়াই দিনেই ম্যাচ হেরে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। গতকাল লাঞ্চের মিনিট দশেক আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ দশমিক ২ ওভারে ১৪৪ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। এটি ১০৭তম টেস্টে বাংলাদেশের ৮১তম হার। ইনিংস ব্যবধানে ৩১তম হার। আর ইনিংস ব্যবধানে বড় হারের তালিকায় অ্যান্টিগা টেস্ট থাকছে অষ্টম স্থানে।
তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৬২ রান নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। এদিন ২২.২ ওভার ব্যাট করে শেষ চার উইকেটে ৮২ রান যোগ করে সফরকারীরা। যেখানে মূল অবদান নুরুল হাসান সোহানের। কারণ দিনের প্রথম ওভারেই ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (১৫)। পরে কামরুল ইসলাম রাব্বিও (৭) স্থায়ী হতে পারেননি। নবম উইকেটে রুবেলকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন এ তরুণ। ৫৫ রানের জুটি গড়েন তারা।
বাংলাদেশের স্কোরটা এ জুটির বদৌলতে একশো পার হয়। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সাহসী ব্যাটিং করেন সোহান। ৩৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। যা দেশের বাইরে টেস্টে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। স্রোতের বিপরীতে সোহানের লড়াই থেমে যায় ইনিংসের ৩৯তম ওভারে। কামিন্সের শিকার হওয়ার আগে ৬৪ রানের (৬ চার, ২ ছয়) লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। কামিন্সের বলে রুবেল বোল্ড হলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। রুবেল ১৬ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে গ্যাব্রিয়েল পাঁচটি, হোল্ডার তিনটি ও কামিন্স দুটি করে উইকেট পান। কেমার রোচ ম্যাচ সেরা হন।