ফাইনালের আগেই উয়েফার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ইতালিয়ান গণমাধ্যম

0
ফাইনালের আগেই উয়েফার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ইতালিয়ান গণমাধ্যম

ইউরো চ্যাম্পিয়নিশিপের ২য় সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে বিতর্কিত এক পেনাল্টিতে জয় পায় ইংল্যান্ড। এতেই ফাইনালের আগেই উয়েফার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বসল ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম।

২য় সেমিফাইনালে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম দাবি তুলেছে, ইংল্যান্ডকে পেনাল্টি উপহার দেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিতর্কিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগ বন্ধে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। আয়োজক উয়েফা সেই প্রতিদান দিয়েছে বলে দাবি তুলেছে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম।

৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে রহিম স্টার্লিং ডেনমার্কের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তিও ইংল্যান্ডের পক্ষে পেনাল্টির রায় বহাল রাখে। তবে ডেনিশ লেফট উইংব্যাক জোয়াকিম মেয়লে ও উইঙ্গার ম্যাথিয়াস ইয়েনসেনের সঙ্গে স্টার্লিংয়ের কোনো শারীরিক স্পর্শ হয়েছিল কি না, প্রশ্ন উঠেছে।

এর আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা ইতালির সংবাদমাধ্যম ‘লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত’ এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের দাবি, স্টার্লিংয়ের সঙ্গে ডেনমার্কের ডিফেন্ডারদের কোনো শারীরিক সংস্পর্শই ছিল না ওই মুহূর্ত।

এই সংবাদমাধ্যমে আরো বলা হয় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি মাঠের রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্ত যাচাই-বাছাই করতেও যথেষ্ট সময় নেয়নি বলে মনে করছে তারা।
পেনাল্টি ছাড়াও এই সেমিফাইনাল ম্যাচের পর দাবি উঠেছিল, স্টার্লিং বল নিয়ে বক্সে ঢোকার সময় ডাচ রেফারি ড্যানি ম্যাকেলি খেলাটা থামাতে পারতেন। কারণ তখন স্টার্লিংয়ের ডান পাশে মাঠে অতিরিক্ত একটি বল ঢুকে পড়েছিল। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে খেলা থামিয়ে অতিরিক্ত বলটা বাইরে পাঠিয়ে পুনরায় খেলা শুরু করা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে তা করা হয়নি। অভিযোগ আছে আরো ইংল্যান্ডের ফাইনালে উঠে আসার পথে খেলা ছয় ম্যাচের পাঁচটি-ই হয়েছে তাদের ঘরের মাঠে ওয়েম্বলিতে। ফাইনালও অনুষ্ঠিত হবে ওয়েম্বলিতে। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধাটা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি পাচ্ছে ইংল্যান্ড।

ইউরো টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সুপার লিগ বিতর্কে টালমাটাল ছিল ইউরোপের ফুটবল ময়দান। শীর্ষস্থানীয় ১২টি ক্লাব মিলে উয়েফা আয়োজিত চ্যাম্পিয়নস লিগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আলাদা একটি টুর্নামেন্ট চালু করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে ইংল্যান্ড থেকে ছিল ছয়টি ক্লাব-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, লিভারপুল ও টটেনহাম হটস্পার্স। কিন্তু ভক্তদের বিরোধিতার মুখে সুপার লিগ জোট থেকে সরে আসে ইংলিশ ক্লাবগুলো।

স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সুপার লিগ জোটের তুমুল বিরোধিতা করে বলেছিলেন, প্রস্তাবিত এ টুর্নামেন্ট থামাতে তিনি নিজ ক্ষমতার মধ্যে সম্ভাব্য সবকিছুই করবেন।

এই জোটকে তিনি ‘মাফিয়া’ নাম দিয়ে সোজাসাপ্টা বলেছিলেন, ‘এটা ফুটবল কিংবা ভক্তদের জন্য নয়’। যদিও বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস এখনো সুপার লিগ ধারণা থেকে সরে আসেনি। তবে জনসনের বিরোধিতায় খুশি হয়েছিল ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।