ফেন্সিডিল ও চাপাতিসহ আটক হওয়া বহিরাগতসহ তিনজনকে বাঁচাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে পুলিশের হাতে আটক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ দুইজনকে ছিনিয়ে নিয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল রাতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের নিয়ন্ত্রিত লালন শাহ হলের ১২৮ নং কক্ষ থেকে চারটি চাপাতি ও ১১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। এ সময় দানিয়েল ও রফিকুল নামে দুই বহিরাগত এবং ওই রুমে থাকা লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশকে আটক করেন তিনি। পরে তাদের ইবি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আকাশ ও রফিকুলকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় লালন শাহ হল থেকে প্রায় শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর ও আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায়। এছাড়া প্রায় তিন ডজন ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনার পর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হলের ওই কক্ষে অভিযান চালানো হয়। দানিয়েল নামের এক বহিরাগতকে ব্যাগভর্তি মাদক ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। রফিকুল নামে অন্য এক বহিরাগত পালিয়ে গেছে।’ জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করাতে প্রক্টর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাটক সাজিয়েছে।’
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ বলেন, ‘ফেন্সিডিল এবং চাপাতিসহ একজনকে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’