গতবছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই টিপিপি বাতিলের নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। চুক্তিটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বিপর্যয় ঘনিয়ে আসার সংকেত’ বলে বর্ণনা করে এর কারণে দেশের উৎপাদন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভাষণে ইউ-টার্ন নিয়ে ট্রাম্প বলেন, আগের চেয়ে আরো অনেক ভাল চুক্তি হলে তিনি পুনরায় টিপিপি’তে যুক্তরাষ্ট্রের যোগদানের কথা ভেবে দেখবেন।
তিনি বলেন, “আমাদের যে চুক্তি ছিল তার চেয়ে যদি আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে ভাল চুক্তি করতে সক্ষম হই, তাহলে আমি টিপিপি করতে পারি।” এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প এই প্রথমবারের মত আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটিতে ফেরার সম্ভাবনা জানান দিলেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়া নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২ টি দেশ টিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর চুক্তিটিতে এখন আছে ১১ টি সদস্য দেশ। এই দেশগুলো এ সপ্তাহে একটি সংশোধিত চুক্তি চূড়ান্ত করাসহ আগামী ৮ মার্চে এটি স্বাক্ষর করার আশা আছে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ট্রাম্প এ ঘোষণার পরপরই টিপিপি তে ফেরার দ্বার খোলার কথা জানালেন। ডাভোসে বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে তিনি বলেন, আগের চুক্তিটি ভয়ানক ছিল, এটি যেভাবে তৈরী করা হয়েছে তা খুবই ভয়াবহ ছিল। সেকারণেই এর চেয়ে ভাল চুক্তি হওয়া চাই বলে জানান তিনি।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভাষণে ট্রাম্প ‘লুটেরা বাণিজ্য’ চর্চারও সমালোচনা করেন। ব্যবসায়িক অংশীদারদেরকে সতর্ক করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যায় বাণিজ্য সহ্য করবে না। এ ধরনের বাণিজ্যের বিরূপ প্রভাব বাজারে পড়ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আর চোখ বন্ধ করে বসে থাকবে না বলেও জানান ট্রাম্প।