ফের পিএলও প্রধান হলেন মাহমুদ আব্বাস

0
মাহমুদ আব্বাস

প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের(পিএলও) নির্বাহী কমিটির আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের(পিএনসি) ৪ দিনের বৈঠক শেষে শুক্রবার তাকে দলটির প্রধান করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১৫ সদস্যের কমিটিতে ৯ জনই নতুন মুখ বলে জানা গেছে।

নির্বাচিত নেতা আজম আল-আহমদ বলেন, পিএলও’র নির্বাহী কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভাই আবু মাজেনকে(আব্বাস) কমিটির প্রধান নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেন। সভায় আব্বাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়াসের আবেদ রাব্বো এবং সাবেক প্যালেস্টিনিয়ান কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ কুরেয়ি’র অপসারণ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি এবং মার্কিন দূতাবাস সেখানে সরানোর সিদ্ধান্তের জবাবে আব্বাসের নেয়া কৌশলই তাকে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে পিএনসিকে প্রভাবিত করেছে।

পিএলও’র নির্বাহী কমিটিই ফিলিস্তিনিদের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি। ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ও ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে পিএলও।

উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার লক্ষ্যে পিএলও গঠিত হয়। দখলদার ইসরায়েলিদের হাত থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করতেই পিএলও গঠিত হয়। পিএলওকে ফিলিস্তিনের বৈধ কর্তৃপক্ষ বলে স্বীকৃত দেয় আন্তর্জাতিক মাধ্যম। ১৯৭৪ সাল থেকে তারা জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় রয়েছে। সারা বিশ্ব পিএলওকে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাদেরকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আসছে।

১৬৬৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইয়াসির আরাফাত দলটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান। তবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করার পর ২০০৩ সালে তিনি মাহমুদ আব্বাসকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। ফাত্তাহকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল স্বীকৃতি না দিলেও মাহমুদ আব্বাসের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কিছুটা নমনীয়। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে মাহমুদ আব্বাস শান্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।

এদিকে আরাফাতের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পিএলওর প্রধান নিযুক্ত হন মাহমুদ আব্বাস। তখন থেকেই তিনি দলটির হর্তকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা, পিএলও ওয়েবসাইট