বাংলাদেশের জন্য একটা খারাপ দিন গেছেঃ মাশরাফি

0

প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিকুর রহিমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয়েছেন । মুশফিকদের টেস্ট-সামর্থ্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা মনে করেন, বাংলাদেশের জন্য একটা খারাপ দিন গেছে।
বাংলাদেশের জন্য একটা খারাপ দিন গেছে
মঙ্গলবার মিরপুরে একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, আমাদের জন্য একটা বাজে দিন গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন আমাদের জন্য অনেক কঠিন। তবে উইকেট ভালো ছিল। নিজেদের কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা যেভাবে বোলিং করে, তাদের যে ক্ষমতা, তাতে আমাদের ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ নয়।

মাশরাফি বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে আমাদের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান সেট হয়ে গিয়েছিল। তবে কেউ ইনিংস বড় করতে পারেনি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে যেটা হয়েছে, ক্রিকেটে মাঝে মাঝে এমন দিন আসে। এটা অবশ্যই হতাশাজনক। তবে তা ভুলে গিয়ে সামনের ম্যাচে কীভাবে ভালো খেলা যায়, বাইরে থেকে আমাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের আগের রেকর্ডের বিচারে এই টেস্টেও কিছুটা উন্নতি দেখতে পারছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘এর আগে তাদের দেশে চার ম্যাচেই আমরা ইনিংস ব্যবধানে হেরেছি। এবার একটু হলেও উন্নতি হয়েছে। প্রত্যেকেই সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, ম্যাচ ড্র হবে। তার মানে ড্রেসিংরুমে এমন আলোচনা হয়েছে। এ মানসিকতা নিয়ে খেললে আমাদের আরও উন্নতি হবে।’ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ইনিংসে বাংলাদেশের বোলাররা মাত্র আট উইকেট পেয়েছেন।

মাশরাফি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে বোলিং সবসময় আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার। সাম্প্র্রতিক জয়গুলোতে স্পিনাররাই ভূমিকা রেখেছে। টেস্ট ক্রিকেটে বোলিং রাতারাতি বদলে দেয়া সম্ভব নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করলেই যে টেস্টেও ভালো হবে এমনটা নয়। এত সহজ নয়টেস্ট ক্রিকেট। আমাদের বোলাররা এখনও অনভিজ্ঞ। ওরা যদি বেশি খেলার সুযোগ পায় তাহলেই ভালো করবে।

মাশরাফি বলেন, ‘শুধু ফল দেখে সব বিবেচনা করা উচিত নয়। চারটা দিন ছেলেরা যে লড়াই করেছে সেটা আমরা কেউ বলছি না। অবশ্য কিছু ভুল না থাকলে হয়তো ছেলেরা এমনভাবে ভেঙে পড়ত না। আমাদের এখানে এসে অস্ট্রেলিয়াও কিন্তু তিনদিনে (আসলে চারদিন) হেরেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোন কন্ডিশনে বাংলাদেশ খেলছে সেটা অনুমান করতে না পারলে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘একশ’র নিচে আমরা ১০ বছর পর অলআউট হলাম। যারা খেলেছে তারাই বেশি হতাশ। এখানেই শেষ নয়। সামনে আরও অনেক ম্যাচ। এই দলটাই তো ম্যাচ জিতিয়ে এর আগে আমাদের আনন্দ দিয়েছে।’

৬ অক্টোবর শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এরপর ওয়ানডে সিরিজের আগে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি ও সাকিব আল হাসানসহ ওয়ানডে দলে যারা সুযোগ পাবেন তারা ৮ বা ৯ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন।

ওয়ানডে সিরিজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ওখানে যারা আছে তাদের অধিকাংশই হয়তো ওয়ানডে দলে থাকবে। হয়তো আমি আর সাকিব যাব। তার আগে টেস্ট সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরপর ওয়ানডে ও টি ২০ ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। ওখানে টেস্টে ভালো খেলতে পারলে অন্য কাজগুলো সহজ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ প্রত্যেকটা জায়গায়। চ্যালেঞ্জের কোনো শেষ নেই। দ্বিতীয় টেস্টও চ্যালেঞ্জিং। দেখলাম ফাফ ডু প্লেসি চায় বাউন্সি উইকেট। চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে।’

দক্ষিণ আফ্রিকায়ও সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ওডিআই হয়। মাশরাফি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণত ৩৫০ বা ৩৭০ রান হয়। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এমন না যে সহজ উইকেট করে দিলে ৩৭০ করতে পারব। বাইরে প্রত্যেকটা ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে