রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসের চালক ও সহকারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর। তিনি বলেন, তুরাগ পরিবহনে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ওসি আরো জানান, তিনজনকে ওই ছাত্রীই শনাক্ত করেছেন। আটকৃতরা হলেন- বাসের চালক রোমান, কন্ডাক্টর মনির ও সহকারী নয়ন। এদিকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে রোববার থেকে ক্ষোভ বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের মাঝে। তুরাগ বাসের মালিক পক্ষ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সুষ্ঠু সমাধান না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নামবেন বলেও জানিয়েছেন। এজন্য আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। গতকাল বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হয়রানির শিকার ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, মঙ্গলবার (আজ) দুপুর ১২টার মধ্যে যদি তুরাগ বাসের মালিক ও প্রশাসন প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে দুপুর ১টা থেকে ফের রাজপথে অবস্থান করবেন তারা।
তবে অভিযুক্তদের আটকের পর তারা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় থাকবেন বলেও জানান। এ প্রসঙ্গে, আন্দোলনের আহ্বায়ক উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী পারভেজ বলেন, আমাদের কর্মসূচি ও দাবিগুলো এখনই তুলে নিচ্ছি না। এখনো আদালতের রায় দেখা বাকি আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আবার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবো।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর ১টায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে চালকের সহকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা চালিয়েছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সিএসসি বিভাগের ৩য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তরা ক্যাম্পাসের সামনে একাধিক তুরাগ বাস আটকে প্রতিবাদ করেন।