এবারের বিশ্বকাপে মাঠের রেফারি ছাড়াও প্রতি ম্যাচে চারজন ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) থাকবেন। তারা মূলত চারটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
মস্কোতে ভিডিও রেফারিদের জন্য স্থাপিত হয়েছে একটি কেন্দ্র। সেখান থেকেই মাঠের রেফারির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তারা৷ মাঠের রেফারি চাইলে সাইডলাইনে গিয়ে ভিডিওর রিপ্লেও দেখতে পারবেন৷ আর স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদেরও বড় স্ক্রিনে ভিডিও রেফারির সিদ্ধান্ত জানানোর ব্যবস্থা থাকছে।
ভিএআররা যে চারটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেগুলো হচ্ছে- গোল ও গোল হওয়ার আগমুহূর্তের বিষয়াদি, পেনাল্টির সিদ্ধান্ত, সরাসরি লাল কার্ড এবং ভুল বলে বিবেচিত হতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত৷
ইতিমধ্যে ভিএআরদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ফিফা। বিশ্বকাপের জন্য ৩৬ রেফারি ও ৬৬ সহকারী রেফারি নির্বাচন করা হয়েছে৷ তাদের মধ্য থেকেই কয়েকজনকে ভিএআর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷
অফসাইডের সিদ্ধান্ত নির্ভুল করার জন্য এবারের বিশ্বকাপে দুটি অতিরিক্ত ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছে ফিফা। ফলে একটি ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য এবার মোট ৩৫টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে৷
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে এ নিয়ে প্রথমবারের মতো ভিএআর ব্যবহার হতে যাচ্ছে৷ তবে জার্মানির বুন্দেসলিগা, ইতালির ‘সিরিআ` ও পর্তুগিজ লিগে ইতিমধ্যে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিএআরের কারণে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এড়ানো গেছে৷
তবে এর বিপক্ষে সমালোচনাও আছে৷ অনেক সময় নাকি ভিডিও রেফারিরাও ভুল সিদ্ধান্ত দেন। কখনও কখনও খেলা কয়েক মিনিট বন্ধ রাখেন৷ তবে বিশ্বকাপে যেন এসব বিষয় এড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করেছে ফিফা।
ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থার (উয়েফা) প্রধান অবশ্য বিশ্বকাপে ভিএআর ব্যবহার নিয়ে ‘উদ্বেগ` প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ প্রযুক্তি পুরোপুরি পরীক্ষিত নয়। তাই চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমেও এটি ব্যবহার করা হবে না। অবশ্য ফুটবল খেলায় এর দরকার আছে বলে মনে করেন তিনি।