আরও একটি বিশ্বকাপ ফাইনাল। আবারও দিদিয়ের দেশ্যম। ফ্রান্সের না জেতার কোনো কারণ আছে কি? ১৯৯৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। এবার কোচ হিসেবে দেশকে এনে দিলেন দ্বিতীয় শিরোপা। গতির লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ২১তম বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরল দিদিয়ের দেশ্যমের দল।
খেলার ১৮তম মিনিটে ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমানের ফ্রি-কিক হেডে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন মারিও মানজুকিচ। কিন্তু বল তার মাথায় ছোঁয়া লেগে নিজেদের জালে ঢুকে যায়। বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে এটি প্রথম আত্মঘাতী গোল।
ইভান পেরিসিচ এরপর ২৮তম মিনিটে ক্রোয়েটদের সমতায় ফেরান। ডি বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত শটে বল ফ্রান্সের জালে বল পাঠান পেরিসিচ। ফ্রি-কিক থেকে ডি-বক্সে আসা বল জটলা থেকে ভিদা কাটব্যাক করেছিলেন। ডান পা দিয়ে জোরালো শটে গোল করেন পেরিসিচ।
সেই পেরিসিচের কারণেই ৩৭তম মিনিটে পুনরায় পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। কর্নার কিক থেকে আসা বল ডি বক্সের ভেতর সুবাচিসের হাতে লাগায় ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারির মাধ্যমে পেনাল্টি আদায় করে নেয় ফরাসিরা। স্পট কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বিশ্বকাপে নিজের চার নম্বর গোল করতে ভুল করেননি আঁতোয়া গ্রিজমান। ২-১ স্কোর শেষ হয় প্রথমার্ধ।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান পল পগবা। বাঁ দিক থেকে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে এমবাপের ক্রস ধরে গ্রিজমান বল পাঠান পেছনে থাকা পল পগবাকে। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার।
এর ৬ মিনিট পর ৬৫তম মিনিটে চোখ ধাঁধানো শটে চার নম্বর গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। বাঁ দিক থেকে লুকা এরনঁদেজের পাস থেকে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে নিচু শটে টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোল করেন ১৯ বছর বয়সী পিএসজির ফরোয়ার্ড।