বাংলার ফুটবলে হলুদের জোয়ার বহু পুরনো। বিশ্বকাপ এলে দেশ ছেয়ে যায় হলুদ পতাকায়। বাচ্চা থেকে বুড়ো, সমর্থনে কমতি নেই। ভিন্ন মহাদেশ, ভিন্ন জাতিসত্তা, ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন সংস্কৃতি; কোনোটার তোয়াক্কা না করে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বিলিয়ে যাওয়া।
এত বছর ধরে বাঙালিরা ভালোবেসে গেছে। ভালোবাসলে ঈশ্বরের দেখা মেলে, সেখানে ব্রাজিল পৃথিবীরই একটা দেশ। এদেশে বসে বসে বাঙালির ব্রাজিল প্রেম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলিয়ান দূতাবাস তাবারেজ ডি অলিভিয়েরা। শুরুর দিকে বিস্ময় ঘিরে ধরলেও, ক্রমে রূপ নেয় ভালোবাসায়।
২০১৮ বিশ্বকাপে বাংলার ব্রাজিল প্রীতি সম্পর্কে নিজ দেশকে অবগত করেন তাবারেজ। দুই দেশের ফুটবল সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনরা মিলে বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে একতাবদ্ধ হন। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে চার বাংলাদেশি তরুণ এক মাসের প্রশিক্ষণ নেয় ব্রাজিলে গিয়ে।
তাবারেজের ভাবনায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। ব্রাজিলের শতবর্ষের সমৃদ্ধ ফুটবল ইতিহাস ও সাফল্যের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলে জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্য তার। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ, সেভাবে নেওয়া হবে প্রস্তুতি।
ব্রাজিলকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়ে তা ফেরত পেতে চলেছে লাল সবুজেরা। সেটি ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ খেলা অসম্ভব নয়। এই রূপরেখা বাস্তবায়নের সারথী হতে দেশের আনাচে কানাচে মুখিয়ে আছে অসংখ্য স্বপ্নবাজ তরুণ।