বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে ওয়াটার এইডের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে। যদিও গত কয়েক বছরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ভারতে এখনও ৭০ কোটি মানুষ প্রকাশ্য স্থানে বা অনিরাপদ টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগ করে।
ওয়াটার এইডের প্রতিবেদনে বলা হয়, একেবারে প্রাথমিক স্তরের টয়লেট সুবিধা নেই— ভারতে এরকম মানুষের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ভারতে প্রকাশ্য স্থানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে ২০১৪ সালে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, ভারতে যেখানে ৭০ কোটি মানুষ এখনো প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করে সেখানে তাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশে প্রকাশ্যে এ কাজ ‘প্রায় বিলুপ্ত’ হয়ে গেছে।
‘পৃথিবীর টয়লেটের অবস্থা’ শিরোনামে ওয়াটার এইডের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নেপালে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করা ২০০০ সাল থেকে এ অবধি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পৃথিবীতে এখনো প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের একটি ভালো টয়লেটে যাওয়ার সুযোগ নেই।
মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় তাদের বাড়ির বাইরে টয়লেটের আরো বেশি দরকার হয়। কিন্তু ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকায় প্রতি ১০ জনের একজন মেয়ে ঋতুস্রাবের সময়টায় স্কুলে যায় না।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বের ৯০টি দেশে প্রাথমিক পয়ঃপ্রণালী সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রগতি এখনো ধীর। পৃথিবীতে ৬০ কোটি লোক অন্য পরিবারের সাথে টয়লেট ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে।
ওয়াটার এইডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে ৩৫ কোটি নারীর জন্য কোনো নিরাপদ টয়লেট নেই। ইথিওপিয়ায় এ সংখ্যা ৪ কোটি ৬০ লাখ।