মাইক পেন্সের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ পিয়ংইয়ং

0
মাইক পেন্স

শীতকালীন অলিম্পিকে আমন্ত্রিত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্মানিত মেহমান হয়ে গিয়েছিলেন সাপে-নেউল সম্পর্কের দুই দেশের দুই নেতা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘পরস্পরের প্রতি উদাসীন’ হয়ে পাশাপাশি বসেছিলেনও তারা। একজন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স আর অন্যজন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ছোটবোন কিম ইয়ো-জং।
মাইক পেন্স
দুজনেই যে যার দেশে ফিরে গেছেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্য বা ‘রথ দেখা ও কলা বেচা’ দুটো কাজ সমাধা করে। কিন্তু মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স কিম ইয়ো-জং সম্বন্ধে গা-জ্বালানো মন্তব্য করে দুদেশের কথার যুদ্ধের আগুনে কেরোসিন ঢেলেছেন। উত্তর কোরিয়া বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পাল্টা বিষোদ্গারে মেতে উঠেছে।

শিনহুয়া বার্তাসংস্থা রোববার এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, মাইক পেন্স গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে একটি কনজারভেটিভ গ্রুপ মিটিংয়ে কিম ইয়ো-জং সম্বন্ধে বলেন, কিম জং উনের ছোট বোন কিম ইয়ো-জং হচ্ছেন ‘‘একটি দুষ্টচক্রের কেন্দ্রবিন্দু’’ বা ‘‘ প্রধান কুশীলবদের অন্যতম’’। এখানেই থেমে থাকেননি পেন্স কিম ইয়ো-জংকে তিনি অভিহিত করেন ‘‘ পৃথিবী নামের গ্রহের সবচেয়ে স্বৈরাচারী এবং সবচেয়ে নিপীড়ক শাসকগোষ্ঠির প্রধান স্তম্ভ’’ বলে।

উত্তর কোরিয়াও কথার জঙ্গে পিছিয়ে নেই। তারাও রীতিমতো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কোরিয়া এসিয়া-প্যাসিফিক পিস কমিটির একজন মুখপাত্র মাইক পেন্সের এহেন মন্তব্যকে ‘‘ কলঙ্কজনক আচরণ’’, ‘‘ দুর্বৃত্তসুলভ আচরণ’’ বলে অভিহিত করেছে। গোটা দুনিয়ায় যে আচরণের তুলনা মেলা ভার।

উত্তর কোরিয়ার টেলিভিশনেও পেন্সের মন্তব্যকে “অমার্জনীয় আচরণ’’, ‘‘ চরম মানহানিকর’’ বলে আখ্যা দিয়ে বিস্তারিত অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।