মালিকের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। সেই অপরাধে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়া হল এক যুবকের চোখ। বেধড়ক মারধরের পরে সিরিঞ্জ ভর্তি অ্যাসিড পুশ করা হল চোখে। কার্যত অন্ধ হয়ে গিয়েছেন আক্রান্ত যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকে রাস্তায় ফেলে রেখেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নিকটবর্তী বেগুসরাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে যুবক। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভগবানপুরের হনুমান চক এলাকায়।
পেশায় ট্রাক্টর চালক ওই ব্যক্তির বাড়ি সমস্তিপুরে। তিনি তেঘরার বারাউনি গ্রামে ট্রাক্টর চালাতেন। সেখানেই মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি মাসের ছ’তারিখে সেই মহিলাকে নিয়ে তিনি উধাও হয়ে যান। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন মালিক। যাইহোক, পুলিশ সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজখবর করেও এই যুগলের কোনও সন্ধান পায়নি। এদিকে গত ১৬ তারিখে দু’জনেই নিজেদের গ্রামে ফিরে আসেন। পেশায় কৃষক স্বামী প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে সালিশি সভা ডাকেন। সেখানে ওই গৃহবধূর কাছে উধাও হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। গৃহবধূ নিজের সাক্ষ্যে কী বলেছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। কেন যে তিনি ফিরে এসেছিলেন তাও স্পষ্ট নয়।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর দেওর সেই ট্রাক্টরচালকের সঙ্গে দেখা করেন। জানান, তাঁদের বাড়ির বউ ওই চালকের কাছে ফিরে যেতে চায়। সেজন্য ওই যুবককে একবার তেঘরা থানায় যেতে হবে। অভিযোগ, রীতিমতো ফাঁদ পেতে তেঘরা থানা এলাকার একটি দোকানে তাঁকে ডাকা হয়। সেখানে গৃহবধূর দেওরের সঙ্গে উপস্থিত ছিল জনা ২০ লোক।
সবাই মিলেই ওই যুবকের উপরে চড়াও হয়। শুরু হয় বেধড়ক মারধর। তারপর দোকান থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে ভগবানপুর এলাকার চাঁদনিচকে ফেলে দিয়ে যায়। যাওয়ার আগে চোখে অ্যাসিড ভর্তি সিরিঞ্জ পুশ করে দেয়। এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন ওই যুবক। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় বেগুসরাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই আক্রমণের ঘটনায় তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।