ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এবার অভিযোগের তীরের মুখে। নরেন্দ্র মোদির নামে যে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি (নরেন্দ্র মোদি অ্যাপ) চালু রয়েছে, তা ইউজার (ব্যবহারকারী)-দের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য ব্যবহারকারীদের অজান্তেই পাচার করে দিচ্ছে একটি বিদেশি সংস্থাকে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজস্ব ওই ওয়েবসাইটটির ঠিকানা হচ্ছে, ‘নরেন্দ্র মোদি ডট ইন’। যার মালিক নরেন্দ্র মোদি নিজে। আর ঠিকানা দেয়া হয়েছে নয়াদিল্লির আকবর রোডের বিজেপি সদর দফতর। ফরাসি ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এলিয়ট অ্যাল্ডারসনের অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওই অ্যাপটি যারা ব্যবহার করছেন তাদের অজান্তেই ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য ‘ক্লেভার ট্যাপ’ নামে একটি মার্কিন সংস্থার কাছে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে।
একের পর এক টুইটে অ্যাল্ডারসনের অভিযোগ, প্রথমবার ওই অ্যাপে লগইন করে নতুন প্রোফাইল তৈরি করার সময়েই ফাঁদে পা দিচ্ছেন ইউজাররা। প্রোফাইল ক্রিয়েট করার সময়েই ইউজাররা যে ডিভাইস (মোবাইল ফোন বা ট্যাব) ব্যবহার করছেন, সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য, ইউজারদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্যাদি একটি বিদেশি সংস্থার ডোমেইন ‘ইন.ডব্লিউজেডআরকেটি ডট কম’ (in.wzrkt.com) এ পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। ওই ডোমেইনটি মার্কিন সংস্থা ‘ক্লেভার ট্যাপ’-এর।
অ্যাল্ডারসনের দাবি, অপারেটিং সফট্ওয়্যারটি কী ধরনের, কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন ক্যারিয়ার ব্যবহৃত হচ্ছে, তা গোপনে পাচার করা হচ্ছে। এছাড়া ইউজারদের ই-মেইল অ্যাড্রেস, ফটোগ্রাফ, নাম ও লিঙ্গ পরিচয় ওই মার্কিন সংস্থা ‘ক্লেভার ট্যাপ’কে দেয়া হচ্ছে। অ্যাল্ডারসনের আরও দাবি করেন, এই ডোমেইনটিকে (‘ইন.ডব্লিউজেডআরকেটি ডট কম’) ওই মার্কিন সংস্থা তাদের ‘জি ডেটা’র তালিকায় একটি ‘ফিশিং লিঙ্ক’ হিসাবে রেখেছে। ওয়েবসাইটের মালিক হিসেবে লেখা রয়েছে একটি নাম ‘গোড্যাডি’ (GoDaddy)। তবে তার আসল পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
অ্যাল্ডারসন জানিয়েছেন, এর পরেই তিনি ওই ডোমেইনটি আসলে কার, তার খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। অ্যাল্ডারসনের কথায়, ‘জানতে পারি, ওই ডোমেইনটি আসলে ‘ক্লেভার ট্যাপ’ নামে একটি মার্কিন সংস্থার।’ এর আগেও চলতি বছরের গোড়ায় অন্য একটি অ্যাপের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যাল্ডারসন। সেটি ছিল ‘ওয়ানপ্লাস’। অ্যাল্ডারসনের অভিযোগ ছিল, ইউজারদের ক্লিপবোর্ড ডেটা ‘ওয়ানপ্লাস’ সংস্থা একটি চীনা সার্ভারে পাচার করে দিচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।