রোনালদোকে নিয়ে দেওয়া সুলশারের জবাব ভালো লাগেনি ফার্দিনান্দের

0
রোনালদো কে নিয়ে দেওয়া সুলশারের জবাব ভালো লাগেনি ফার্দিনান্দের

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, সেখান থেকে জুভেন্টাস হয়ে আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দল বদল হলেও রোনালদোর গোল করার ফর্ম বদলায় নি। এখনো সেই আগের মত একের পর এক গোল করে যাচ্ছেন দলের হয়ে। চলতি মৌসুমে জুভেন্টাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নাম লেখানোর পর ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটির হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। এই দুই ম্যাচে গোল করেছেন তিনটি। যার একটি গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে। রোনালদোর ১৩ মিনিটের সেই গোলের পরও অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ম্যান ইউনাইটেড।

শুধু একজন খেলোয়াড় হিসেবে গোল করেই নয়, সেই ম্যাচে ইউনাইটেডকে জেতাতে কিছু সময়ের জন্য ‘কোচের’ ভূমিকাও নিয়েছিলেন রোনালদো! ম্যাচের ৭২ মিনিটে রোনালদোকে তুলে নিয়ে কোচ ওলে গুনার সুলশার মাঠে নামান জেসে লিনগার্ডকে। বদলি হয়ে বসে থাকেননি রোনালদো। ডাগআউটে কোচ সুলশারের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বিভিন্নভাবে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন সতীর্থদের।

বিষয়টি হয়তো অনেককেই মনে করিয়ে দেবে ২০১৬ ইউরোর ফাইনালে পর্তুগাল-ফ্রান্স ম্যাচটিকে। সেই ম্যাচেও বদলি হতে হয়েছিল রোনালদোকে। সেদিন অবশ্য চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ম্যাচের ২৫ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে হলেও ডাগ আউটে রোনালদো ছিলেন সক্রিয়। কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের পাশে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন সতীর্থদের। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটি পর্তুগাল শেষ পর্যন্ত জিতেছিল এদেরের গোলে।

পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম ইউরো জয়ের পর ডাগআউটে দাঁড়ানো রোনালদোর ছবি ছাপা হয়েছিল বিভিন্ন দেশের পত্রপত্রিকায়। রোনালদোর ভূমিকার প্রশংসা তখন অনেকেই করেছিল। কিন্তু এবার হচ্ছে এর উল্টোটা। বিশেষ করে ম্যান ইউনাইটেডের সাবেক খেলোয়াড় রিও ফার্ডিনান্ড বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেননি। সাবেক এই ইংলিশ ডিফেন্ডার আর বর্তমানের ফুটবল পণ্ডিত রোনালদোর এ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন ইউনাইটেডের কোচ সুলশারের।

বিষয়টি নিয়ে ফার্ডিনান্ড বলেছেন, ‘সত্যি বলছি আমি কোচ হলে তাকে তার আসনে গিয়ে বসতে বলতাম।’ ফার্ডিনান্ডের কাছে নাকি একটা পর্যায়ে মনে হয়েছে রোনালদোই দল চালাচ্ছেন। আর এসব ক্ষেত্রে অন্যরা রোনালদোর প্রশংসা করলেও ফার্ডিনান্ড কিছুতেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না, ‘এটা সবাই যে এসব ক্ষেত্রে ক্রিস্টিয়ানোকে মানুষ আরও বাহবাই দেবে। সে এটা আসলে সমর্থকদের নজর কাড়ার জন্য করে। মানুষ বলবে দেখুন না, সে ক্লাবের প্রতি তার আবেগ কতটা বেশি। সে জিততে চায়। সে আসলে জিততে মরিয়া।’

সুলশার অবশ্য ফার্ডিনান্ডের এ কথার প্রতিবাদ করে বলেছেন যে তাঁর সাবেক সতীর্থ পুরো বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছেন, ‘রিও মাঝেমধ্যেই এমন সব বিষয়ে এমন সব বিষয়ে মন্তব্য করে, যে বিষয়ে সে কিছু জানেই না। আরও একবার এ কাজটাই করল সে।’ সুলশার এরপর ব্যাখ্যা করেছেন সেদিন ডাগআউটে ওই সময়ে কী হয়েছিল, ‘নেমানিয়া মাতিচকে ফাউল করার পর (ইয়াং বয়েজের) মার্তিনস পেরেইরার হলুদ কার্ড দেখা