ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাজেভাবে ধবলধোলাইয়ের পর শ্রীলঙ্কার অসন্তুষ্ট ক্রিকেট ভক্তরা খেলোয়াড়দের বর্জনের ডাক দিয়েছে। আনফলোক্রিকেটার হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে তারা দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছেন।
শনিবার সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ড ৮৯ রানে জয়ের মধ্যে দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে। এরপরই রবিবার থেকে ফেসবুকে #অানফলোক্রিকেটার হ্যাশট্যাগ ব্যবহার শুরু হয়। সাথে সাথে কয়েক হাজার ভক্ত-অনুরাগী দলের সহ-অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও ওপেনার ধানুশকা গুণাথিলাকার ফেসবুক পেইজ বর্জন করে। ভক্তরা ফেসবুকে একে অন্যকে টেলিভিশনে জাতীয় দলের খেলা দেখা থেকে বিরত থাকারও উপদেশ দেয়। এ নিয়ে তাদের নানা রকম হাস্য রসাত্নক ছবি (মিমস) আদান প্রদান করতে দেখা যায়।
আহমেদ ইনামুল হক নামের একজন টুইট করেন, “এই সমস্ত ব্যর্থ ক্রিকেটারদের অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকুন। জাতীয় দলের হয়ে পারফরম্যান্স করতে না পারলে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশাল ভক্ত – অনুসারী পাওয়ার যোগ্য নয়।”
এব্যাপারে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কারও কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজের পারফরম্যান্স তিন দশকের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অন্যতম খারাপ পারফর্ম্যান্স।
শ্রীলঙ্কান ক্রীড়া সাংবাদিক মঞ্জুলা বাসনায়েক টুইটারে বলেছেন, “১৯৯৩ সাল থেকে আমি ক্রিকেট ম্যাচ দেখছি। তবে শ্রীলঙ্কার এমন দুর্বল ক্রিকেট দল আমি আর কখনও দেখিনি। তারা বল ব্যাটেই লাগাতে পারছেনা।”
লংকান অধিনায়ক কুশল পেরেরা বলেছেন, “আমরা জানতাম এই সিরিজটি কঠিন হবে, তবে আমাদের ব্যাটিং অপ্রত্যাশিত খারাপ করেছে। এটি ছিল আমাদের মূল সমস্যা। আমরা গতিময় পিচ এবং শর্ট বাউন্স বলে অভ্যস্ত নই।”
অক্টোবর ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত খেলা ১০টি টি-টোয়েন্টি সিরিজের কেবল একটিই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দুটি করে এবং অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে একটি করে সিরিজ হেরেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
চেস্টার-লি-স্ট্রিটে মঙ্গলবার থেকে তিন ওয়ানডের সিরিজ শুরু হবে। ৫০ ওভারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার আরও কঠিন পরীক্ষার অপেক্ষা করছে।