লিওনেল মেসি জাতীয় দলের হয়ে একেবারেই রিক্তহস্ত! তবে শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে যার ভুড়ি ভুড়ি শিরোপা আর রেকর্ডের ছড়াছড়ি। ২০০৭ থেকে চারটি আন্তর্জাতিক ফাইনাল খেলেছেন মেসি। কিন্তু জিততে পারেননি একটিতেও। চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপে তার দল বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলো থেকেই। আগামী ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আদৌ মেসি খেলবেন কিনা- তাতে বিস্তর সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু ওই বিশ্বকাপের আগে আরও ৩টি সুযোগ পাবেন ফুটবল জাদুকর।
২০১৯ সাল দিয়েই শুরু করা যাক। আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলে আগামী বছর বসছে কোপা আমেরিকার আসর। আর্জেন্টিনা দলের যে অবস্থা, তাতে ব্রাজিল থেকে শিরোপা নিয়ে আসা দিবাস্বপ্নই বলা যেতে পারে। অন্যদিকে তিতের ব্রাজিল দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছে গত কয়েকবছর ধরেই। ব্রাজিল আসরে যদি নাও হয়, তবে পরের বছর আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন ৩১ বছর বয়সী এই ভিনগ্রহের ফুটবলার।
এরপর ২০২০ সালেও অনুষ্ঠিত হবে আরেকটি কোপা আমেরিকার আসর। যেমনটা হয়েছিল ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে। এবার ২০২০ সালে কোপা আমেরিকার আয়োজক হবে ইকুয়েডর। নামটা শোনা শোনা মনে হচ্ছে? বাছাইপর্বের খেলায় এই ইকুয়েডরকেই হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে দলকে খাদের কিনারা থেকে একাই টেনে তুলেছিলেন মেসি। সুতরাং… খুব বুঝে শুনে এগোতে হবে।
২০২১ সালে আগামী বিশ্বকাপের আগের বছর কাতারে বসবে কনফেডারেশনস কাপের আসর। এই আসরে গিয়ে মেসিরা বিশ্বকাপ প্রস্তুতিটাও সেরে রাখতে পারবেন। এই তিনটি ছাড়া ২০২২ বিশ্বকাপ তো আছেই। ৩১ বছর বয়সী মেসির বয়স তখন হবে ৩৫। এই বয়সে খেলে যাওয়া বিরল কোনো ঘটনা নয়। মেসিও কদিন আগে বলেছেন, দেশকে শিরোপা উপহার না দিয়ে আর অবসরের যাবেন না তিনি। এখন সময় দল পুনর্গঠনের।