কে ফেভারিট, কাপ কার ঘরে যাবে; শুরুর দিকে কতই না সমীকরণের বুলি আওড়িয়ে ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখন তারাই বলছেন- কেউ-ই ফেভারিট নয় আপাতত। নানা নাটক, প্রত্যাশিত আর অপ্রত্যাশিত ঘটনার ওপর দিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ।
বাছাই পর্বের অগ্নিপরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে আশা স্বাগতিক রাশিয়াকে ভ্রুকুটি করছিলেন অনেকেই। কিন্তু সমর্থকদের প্রত্যাশা ছাপিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে রাশিয়া। দেশটির সমর্থকরাও এতটা আশা করেননি।
এরআগে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে চূর্ণ করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল জিউবার দল। অপ্রত্যাশিত ঘটনার বিশ্বকাপের সুরটাই যেন সেদিন বেঁধে দিয়েছিলেন চেরিশেভরা। তারা জানিয়ে দিয়েছিল এবারের বিশ্বকাপে ছোটদল-বড়দল বলে কিছু নেই।
মাঠে সবাই জেতার লক্ষ্যেই নামে। আজ সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শেষ ষোলোর অগ্নিপরীক্ষায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হবে রাশিয়া। স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে আজকের ম্যাচই যেন স্বপ্নের ফাইনাল।
রাশিয়া একাই নয়, সঙ্গে থাকবেন তাদের লুঝনিকি স্টেডিয়ামের ৮০ হাজার দর্শক। গোলকিপার ইগোর আকেনফিভকে ঘোল খাওয়ানো কঠিনই বটে। মিডফিল্ডার এন্তন মিরানচুক ও কুজায়েভও ভালো খেলছেন।
বিশ্বকাপে গায়ে ফেভারিটের তকমা লাগিয়ে এলেও এখন পর্যন্ত জ্বলে উঠতে পারেনি ভূমধ্যসাগর পাড়ের দেশটির। প্রথম রাউন্ডে গোলের ওপর থাকলেও গোল হজমও করতে হয়েছে প্রায় সমানসমান। শেষ ষোলোতে স্থান করে নিতে মরক্কোর বিপক্ষে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঘাম ঝরাতে হয়েছিল রামোসদের। তবু আজ পরিষ্কার ফেভারিট স্পেন। শক্তি-সামর্থ্যে লা রোহাদের সঙ্গে কোনো তুলনাই চলে না রাশিয়ার।
নিজেদের ভালো করে মেলে ধরতে না পারলেও গত দুবছরে টানা ২৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড বলছে- স্পেন এখনও অপ্রতিরোধ্য। জ্বলে উঠলে ইউরোপীয় ফুটবল গর্বকে লুঝনিকির মাঠে উপস্থাপন করতে পারে রামোস-মার্কোর দল।