মৃত্যুর পর কেটে গেছে প্রায় ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময়। শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক নয়া তথ্য। যাতে পুরো বিষয়টিই নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। প্রথমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরবর্তী কালে হোটেলের বাথটাবে ডুবে মৃত্যুর তথ্য উঠে আসে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
ফরেন্সিক রিপোর্টে রক্তে মিলেছে অ্যালকোহল। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অন্যদিকে শ্রীদেবীর মৃত্যুর তদন্ত লিগ্যাল সেলের হাতে তুলে দিয়েছে দুবাই পুলিশ। যাতে পরবর্তী পর্যায়ে রসিদ হাসপাতালে (যে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে দেহ) তরফে NOC (no objection certificate) দেওয়ার আগে পুরো তদন্তই অইন মাফিকই এগোবে।
আশা করা হচ্ছে শ্রীদেবীর মৃত্যুকে কোনও রকম রহস্য মৃত্যুর আখ্যা দেবে না দুবাইয়ের লিগ্যাল সেল। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত NOC দেওয়া হয় ততক্ষণ শ্রীদেবীর দেহের পচন রুখতে রসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে দুপুর ৩টের (ভারতীয় সময়ে সাড়ে ৪টা) মধ্যে দুবাইয়ের সরকারি অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া ও মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হবে মঙ্গলবার। তাই সোমবার কোনওভাবেই মুম্বাইয়ে শ্রীদেবীর দেহ পৌঁছনোর সম্ভবনা নেই।
এদিকে ঘটনায় ইতিমধ্যেই শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর ও হোটেলের কর্মীদের বয়ান নেওয়া শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। বনি কাপুরকে আপাতত দুবাই ছাড়তে নিষেধ করেছে সেদেশের লিগ্যাল সেল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে শ্রীদেবীর কল লিস্ট। তবে প্রথমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরবর্তী কালে বাথটাবের জলে ডুবে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এভাবে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ক্রমাগত তথ্য পরিবর্তন হওয়ায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।
১) শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর শনিবার সন্ধ্যা ৬.২৫ নাগাদ বাথরুমের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করলে পুলিশকে কেন ৯টার সময় খবর দেওয়া হল?
২) পুলিশকে খবর দেওয়ার বদলে প্রথমে কেন তার কোনও বন্ধুকে ফোন করেছিলেন বনি কাপুর?
৩) হোটেলের জরুরিকালীন অবস্থার সহায়তা কেন বনি কাপুর নেননি?
৪) শ্রীদেবীর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা প্রথমে কে বলেছিলেন?
৫) শেষ ৪৮ ঘণ্টায় একই নম্বরে একাধিকবার ফোন কেন?
এইসব প্রশ্নের কারণে তদন্তকারীদের সন্দেহের তীর এখন বনি কাপুরের দিকে! তবে এখনো তাকে আটক না করলেও দুবাই ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বনি কাপুরের বিরুদ্ধে।