টেস্ট র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় সেরা দলটি লংকায় এসে বেকায়দায় পড়েছে। গল টেস্টে ২৭৮ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হওয়া দলটি দ্বিতীয় টেস্টে ১৯৯ রানে পরাজিত হয়।
২০০৬ সালের পর এই প্রথম কোনো টেস্ট সিরিজে ধবল ধোলাই হল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ বছর পর ফের হোয়াইওয়াশ হল আফ্রিকা।
প্রথম টেস্ট গলে দুই ইনিংসে ১২৬ ও ৭৩ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া ফাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্বাধীন দলটি তিন দিনে হেরে যায়। কেলম্বোয় পাঁচদিন খেলেও পরাজয় এড়াতে পারেননি হাশিম আমলারা।
কলম্বো টেস্টে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯৯ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে জিতেছে শ্রীলংকা ২০০৬ সালের পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এটাই লংকানদের প্রথম সিরিজ জয়।
চতুর্থ ইনিংসে ৪৯০ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৩৯ রানে তৃতীয়দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ সিরিজের ভাগ্য কার্যত তখনই লেখা হয়ে গিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ উইকেট জুটির প্রতিরোধ ভেঙে চতুর্থদিনের দ্বিতীয় সেশনেই জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলে শ্রীলংকা।
থিউনিস ডি ব্ল–ইনের সেঞ্চুরি এবং টেম্বা বাভুমার লড়াকু ফিফটির পরও ২৯০ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও শ্রীলংকার তিন স্পিনার মিলেই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সব উইকেট। ধ্বংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছেন চিরতরুণ রঙ্গনা হেরাথ। ৯৮ রানে নিয়েছেন ছয় উইকেট।এনিয়ে ৩৪বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন হেরাথ। এছাড়া দিলরুয়ান পেরেরা ও আকিলা ধনঞ্জয়ার ঝুলিতে গেছে দুটি করে উইকেট।
সিরিজের আগের তিন ইনিংসে যথাক্রমে ১২৬, ৭৩ ও ১২৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ইনিংসে যা একটু লড়াই করতে পেরেছে। সেটি ষষ্ঠ উইকেটে ডি ব্রুইন ও বাভুমার ১২৩ রানের জুটির কল্যানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার এশিয়ার মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ জুটি। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে বার্ভমাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হেরাথ। লাঞ্চের পর ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক তুলে নেয়া ডি ব্রুইন ও (১০১) হেরাথের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপর আর দশ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।শ্রীলংকা সফরে ব্যাটিং বিপর্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।