জয়ের জন্য প্রয়োজন ৬ বলে ১২ রান। ২০ ওভারের প্রথম বলে উদানার বাউন্সার উড়ে গেল মুস্তাফিজের মাথার উপর দিয়ে। দ্বিতীয় বলও একই লাইন দিয়ে আগের থেকে একটু বেশি উচ্চতায় জমা পড়ল উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। রানের জন্য মুস্তাফিজ দৌড় দিলে রান আউট হয়ে যান। কিন্তু আম্পায়ারের কাছ থেকে এলোনা কোন ওয়াইড বা নো বলের সংকেত। আর কাহিনীর শুরু এখান থেকেই।
টি-টোয়েন্টিতে নিয়ম অনুযায়ী এক ওভারে মাত্র একটি বাউন্সার দেওয়া যায় আর ওয়ানডেতে দেওয়া যায় দুইটা। আজকের ম্যাচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে বোলারের দেওয়া বাউন্সারকে আম্পায়ার দিলেন লিগ্যাল ডেলিভারি আর এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন সাকিব আল হাসান। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে গেল গোটা দল। সাকিব অভিযোগ তুললেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। মাঠে মাহমুদউল্লাহও তখন ফিল্ড আম্পায়ারকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কোন কথা কানে তুলছে না, কিন্তু ভিডিও ফুটেজ বলছে সেটা আসলেই নো বল ছিল। তাই এক পর্যায়ে সাকিব মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার জন্য দুই ব্যাটসম্যানকে ইশারা করেন।
যদিও শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই মাহমুদউল্লাহ’র বীরোচিত ইনিংসে ভর করে ১ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। কিন্তু সবখানে সমালোচিত হচ্ছে সাকিবের দলকে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ। ভারতের প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার ও সাবেক খেলোয়াড় সুনীল গাভাস্কার সাকিবের অতি আবেগি কর্মকান্ডের নালিশ রাখলেন আইসিসির কাছে।
ম্যাচ পরিবর্তী আলোচনায় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেন, “আজ যেটা হয়েছে সেটা ভাল কিছু ছিল না। আইসিসিকে এই বিষয়ে আরো কঠোর হতে হবে। সাকিব মাঠের আম্পায়ারের ডিসিশনকে অমান্য করেছে তার বিচার হওয়া উচিত। তাদের বোর্ডেরও উচিত এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা।”
ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব অনুতপ্ত হয়েছেন নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রন না করতে পারার জন্য। তিনি বলেন, “আসলে আমার আবেগ আরো সংবরণ করা উচিত ছিল, কারণ আমি একটি দলের নেতা তাই আমাকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে।”
জয়ের ফলে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে পৌছে গেল বাংলাদেশ। আগামি রবিবার (১৮ মার্চ) ফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শক্তিশালী ভারতের।