সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ- আধুনিক বিশ্বের অন্যতম এক বিশেষ নৌযান। একই সাথে নানান কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ডুবোজাহাজ। শত্রুর নৌ ঘাঁটি থেকে শুরু করে বিমান কিংবা যেকোনো ধরনের নৌযান বিধ্বস্ত করায় এর জুড়ি নেই। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রের তলদেশে গবেষণা কাজ কিংবা উদ্ধার অভিযানেও এটি সমান পারদর্শী। বর্তমানে এটি জাতীয় শক্তির অন্যতম প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। তাই বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি দেশই তাদের শক্তিমত্তা বৃদ্ধির জন্যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে এক বা একের অধিক ডুবোজাহাজ কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং কিনছে।
আপনার কি কখনো জানতে ইচ্ছে হয়েছে সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে? অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে সাবমেরিন কিভাবে চলে এবং কিভাবে পানিতে ভাসে ও আবার পানির নিচে চলে যায়। বিষয়টি তেমন জটিল কিছু না সাবমেরিন মূলত কাজ করে প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের “ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থিওরী” উপর ভিত্তি করে।এই থিওরীর উপর ভিওি করেই ১৬২০ সালে কর্ণেলিয়াস জ্যাকবসজুন ড্রেবেল নামীয় একজন ডাচ কর্তৃক প্রথম নৌযানবাহন হিসেবে সাবমেরিন আবিস্কার করেন। ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থিওরী হল কোন অদ্রব্য বস্তুকে পানিতে ডোবালে তা নিজের আয়তনের সমপরিমান পানি অপসারিত করবে। সোজা কথায় অপসারিত পানির ভরের থেকে পানিতে ডোবানো জিনিসটি যদি হালকা হয় তবে তা ভেসে থাকতে পারে।বিষয়টাকে আরও সহজে ও ভেঙ্গে বলছি যাতে আপনারা সহজে বুঝতে পারেন ।একটি খালি প্লাস্টিকের বোতলে যদি বাতাস ভরা হয় তখন কিন্ত বোলতটি পানিতে ভেসে থাকবে। ঠিক যদি আবার বোতলটিতে নতুন করে পানি ভর্তি করে দেওয়া হয় তবে সকল বাতাস বের হয়ে যাবে বোতলটি ভারী হয়ে গিয়ে পানিতে ডুবে যাবে। আবার যদি অর্ধেক বাতাস বোতলে রাখা হয় তবে বোতলটি অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় ভেসে থাকবে সেইম সূত্র অবলম্বন করে সাবমেরিন পরিচালিত হয়।
একই সূত্র ফলো করে সাবমেরিনে কিছু ব্যালাস্ট ট্যাংকার থাকে এর ভিতরে পানি ও বাতাস ডুকানো হয় যন্ত্রের সাহায্যে। যখন সাবমেরিন ডুবানোর দরকার পরে তখন এইসব ব্যালাস্ট ট্যাংকারে পানি ডুকিয়ে দেওয়া হয় ফলে সাবমেরিনটি ভারী হয়ে পানিতে ডুবে যায়। আবার যখন ভাসানোর দরকার পরে তখন ব্যালাস্ট ট্যাংকারের পানি গুলি বের করে যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত বাতাস ডুকতে থাকে ফলে সাবমেরিন পানির উপরে ভেসে উঠে।
তবে এতে করে সাবমেরিনের ভিতরে চাপের কোন পরিবর্তন হয়না কারণ হল এতে উন্নত মানের ষ্টীল, টাইটেনিয়ামের মতন ধাতু ব্যাবহার করা হয়। এইসব ধাতুর কারণে শুধু সাবমেরিনের ভিতরে নয় এর বাইরেরও পানি প্রচণ্ড চাপ সহ্য করার মতন ক্ষমতা থাকে। সাবমেরিনের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে অক্সিজেন তৈরি করা হয়। অনেকে প্রশ্ন করেন পানির কত নিচে পর্যন্ত যেতে পারে সাবমেরিন। আসলে সাবমেরিনের একটা নিদিষ্ট রেঞ্জ থাকে সেই রেঞ্জের নিচে গেলে সাবমেরিনটির দুর্ঘটনায় ঘটবে । বর্তমানের আধুনিক সাবমেরিন গুলি মধ্যে সবচেয়ে বেশী চাপ নিতে সক্ষম মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন ও রাশিয়ান সাবমেরিনগুলি, মার্কিন সাবমেরিন গুলি ৪৫০০ ফুটের নিচে যেতে পারে না। যদি যায় তবে পানির বিশাল চাপে সাবমেরিন চ্যাপ্টা বানিয়ে ফেলবে। সাবমেরিন কতদিন পানির নিচে থাকবে তা নির্ভর করে মূলত কতদিনের জ্বালানি আছে ও ক্রদের খাদ্য কি পরিমাণ রিজার্ভ আছে। যদি ডিজেল সাবমেরিন হয় তবে ডিজেল নেভার জন্য কিছুদিন পরেই উপরে আসতে হয়। আর যদি পারমাণবিক সাবমেরিন হয় তবে একবার জ্বালানি নিয়ে এটি একটানা ২৫ বছর বা আরও বেশী সময় পানির নিচে থাকতে পারবে কিন্ত ক্রদের খাদ্যর জন্য তাকে উপরে আসতেই হবে।কারণ পারমাণবিক সাবমেরিন নিজে ২৫ বছর বা আরও বেশীদিন পানির নিচে থাকতে পারবে কিন্ত ভিতরের মানুষের জন্য ৬ মাস পরে উপরে আসতেই হবে। সাবমেরিনে ৬ মাসের বেশী খাবার মজুদ রাখা যায় না।
আলাদা কেনো?
ডুবোজাহাজের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি একই সঙ্গে পানিতে ভাসতে পারে এবং প্রয়োজন হলে পানির নিচেও অবস্থান করতে পারে। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব হয়? একটি খালি বোতল খুব সহজেই পানিতে ভেসে থাকতে পারে। আবার বোতলটি পানি দিয়ে ভর্তি করে দিলে তা পানির নিচে ডুবে যায়। ঠিক একইভাবে ডুবোজাহাজ পানিতে ভাসে ও ডুবে থাকে। ডুবোজাহাজে একটি ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থাকে। এই ট্যাঙ্কের সাহায্যেই মূলত সাবমেরিনটি পানিতে ডুবে ও ভেসে থাকে। সাধারণত ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক যখন বায়ুপূর্ণ থাকে, তখন ডুবোজাহাজ পানিতে ভাসমান থাকে। এর নিচে এবং উপরের দিকে দুটি ভালভ থাকে। যখন এটির পানির নিচে যাবার প্রয়োজন হয়, তখন নিচের ভালভটি খুলে দেয়া হয় এবং সেখান দিয়ে পানি ঢুকে এর ওজন বাড়িয়ে দেয়, আর ওপরের ভালভ দিয়ে বাতাস বের হয়ে যায়। ফলে ডুবোজাহাজটি আস্তে আস্তে পানির নিচে চলে যায়। এর পাশাপাশি অন্য একটি ট্যাঙ্কে বাতাসের মজুৎ রাখা হয় এবং ওপরে ওঠার প্রয়োজন হলে পাম্পের মাধ্যমে ব্যালাস্ট ট্যাঙ্কের পানি বের করে ফেলা হয় এবং মজুতকৃত বাতাস দিয়ে ট্যাঙ্কটি ভর্তি করে ফেলা হয়। এভাবে সহজেই এর ওজন হ্রাস পায় এবং এটি আবার ভেসে ওঠে। ডুবোজাহাজের ভেতরের চাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এতে উন্নতমানের স্টিল ও টাইটেনিয়াম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এর ফলে ভিতরে চাপের কোনো পরিবর্তন হয় না।
বিশ্বের বৃহত্তম ডুবোজাহাজ কোনটি?
দৈত্যাকার শরীর নিয়ে পানির নিচে দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারে কে আর, সে তো নীল তিমিই। কিন্তু না, তার চেয়ে কোনো অংশে কম যায় না পানির নিচের দৈত্য-খ্যাত সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ। নিজের পেটের ভিতর অনেক কিছু নিয়ে সাগর সাঁতরে বেড়ায় সে। বিশেষ পদ্ধতির এই জাহাজ তৈরির কৌশল কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। কয়েকশ বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর আজকের আধুনিক সাবমেরিন যুগে আসছে। বর্তমানে সাবমেরিন দিয়ে শত্রু বাহিনীর জাহাজ কিংবা ডুবোজাহাজ আক্রমণ মোকাবিলা, বিমানবাহী জাহাজ বহর রক্ষা, অবরোধ দূরীকরণ, প্রচলিত স্থল আক্রমণ ও বিশেষ বাহিনীকে গুপ্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তাই প্রতিটি সাবমেরিনের আর্থিক মূল্যও অনেক বেশি। কিন্তু তাতে কী, প্রমোদবিহারেও ব্যবহার হয় এই বিলাসবহুল যানটি।
এমনই একটি বৃহৎ আকার সাবমেরিন হচ্ছে অ্যাস্টার ক্লাস। এর ৭,৪০০ টনের একটি ডুবো স্থানচ্যুতি রয়েছে। পারমাণবিক শক্তি চালিত এই সাবমেরিন গোত্রটি ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর কাজে যুক্ত রয়েছে। এই গোত্রের মোট তিনটি সাবমেরিন রয়েছে, যার সবগুলোই বর্তমানে কার্যকর। রাশিয়ার টাইফুন ক্লাস নামের সাবমেরিন ৪৮,০০০ টনেরও বেশি ডুবো স্থানচ্যুতিসম্পন্ন। এই সাবমেরিনটিকে বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন বলে গণ্য করা হয়। পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত এই সাবমেরিনটি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা সজ্জিত। এই গোত্রের ছয়টি সাবমেরিনের প্রথমটি, ডিমট্রি ডন্সকই ১৯৮১ সালে অনুমোদিত হয় এবং এখনো পর্যন্ত এটি রাশিয়ার নৌবাহিনীর সেবায় নিযুক্ত রয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ১৭৫ মিটার, আলোকচ্ছটা ২৩ মিটার এবং খসড়া ১২ মিটার। রাশিয়ার আরও একটি বৃহত্তম সারমেরিন হলো ডেল্টা ক্লাস। সাবমেরিনটি বিশাল পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রসম্পন্ন। যা রাশিয়ার উত্তর দিকের একটি শহর সেভেরোদভিন্সে নির্মাণ করা হয়েছে।
ডেল্টা গোত্রের মোট চারটি সাবমেরিন রয়েছে। ১৯৭৬ সালে ডেল্টা গোত্রের প্রথম সাবমেরিনটি অনুমোদন পায়। এই গোত্রের তৃতীয় এবং চতুর্থ সাবমেরিন বর্তমানে রাশিয়ার নৌবাহিনীতে কার্যকর রয়েছে। এটি ঘণ্টায় ৪৪.৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলে। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও ক্লাস সাবমেরিনও আকারে বিশাল। এই গোত্রের সাবমেরিন পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ১৮টি পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ওহিও গোত্রের সাবমেরিন রয়েছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতকৃত সর্বকালের বৃহত্তম সাবমেরিনগুলোর মধ্যে একটি। প্রতিটি সাবমেরিনের ১৮,৭৫০ টন ডুবো স্থানচ্যুতিসম্পন্ন ক্ষমতা রয়েছে। এই গোত্রের প্রথম সাবমেরিন ইউএসএস ওহিও প্রস্তুত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের শহর গ্রটনের ইলেকট্রিক বোট ডিভিশন অব জেনারেল ডাইনামিকস করপোরেশন। সিয়েরা ক্লাস হলো রাশিয়ার আরও একটি বৃহত্তম সাবমেরিন। ১০,৪০০ টনের ডুবো স্থানচ্যুতিসম্পন্ন এই সাবমেরিনটি।
রাশিয়ার নৌবাহিনীতে সিয়েরার চারটি সাবমেরিন কার্যকর অবস্থায় রয়েছে। সিয়েরা গোত্রের সাবমেরিনগুলো হালকা এবং ভারী টাইটানিয়ামের চাপে তৈরি যার কারণে সাবমেরিন পানির বেশ গভীর পর্যন্ত যেতে পারে এবং বিকিরণের শব্দের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। এ ছাড়াও এটি টর্পেডো হামলার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রাশিয়ার আরও একটি বিখ্যাত সাবমেরিন হলো আকুলা ক্লাস। ১৩,৮০০ টনের ডুবো স্থানচ্যুতিসম্পন্ন এই গোত্রের সাবমেরিনটি পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন। এই গোত্রের মোট দশটি সাবমেরিনের নয়টি রাশিয়ার এবং একটি ভারতীয় নৌবাহিনীতে কার্যরত আছে। আকুলা গোত্রের সর্বপ্রথম সাবমেরিনটি ১৯৮৪ সালে সোভিয়েত নৌবাহিনীতে অনুমোদিত হয়। পৃথিবীর আরেকটি বৃহৎ সাবমেরিন ট্রায়োম্ফ্যান্ট ক্লাস। ফ্রান্সের এই সাবমেরিনটি ১৪,৩৩৫ টন ডুবো স্থানচ্যুতিসম্পন্ন। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সংবলিত এই সাবমেরিনটি ফ্রান্সের নৌবাহিনীতে সেবা পরিবেশন করে এবং ফ্রান্সের নৌবাহিনীতে পরমাণু প্রতিরোধকারী সামরিক শক্তিরও একটি অংশ।
বাংলাদেশের সাবমেরিন আছে?
অনেক বছর ধরেই যুদ্ধক্ষেত্রের পাশাপাশি নানান কাজে বিভিন্ন দেশে ডুবোজাহাজ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কালের পরিক্রমায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে আমাদের দেশেও। এরই প্রতিফলন হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে নতুন দুটি ডুবোজাহাজ। ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামের এ দু’টি ডুবোজাহাজ আমাদের নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। আকাশ ও স্থলপথের পাশাপাশি জলপথেও যে বাংলাদেশ এখন বেশ শক্তিশালী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’ এটিই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। তাই বলা যায় অনেকটা আত্মরক্ষার্থেই ডুবোজাহাজ দুটি ব্যবহৃত হবে। সমুদ্রে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধানসহ বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের অধিকাংশই চলে জল পথে। এ সকল কাজে ডুবোজাহাজ দুটি আমাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরের ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আরও সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশে আমদানিকৃত ডুবোজাহাজ দুটি ‘০৩৫জি’ মডেলের। অনুসন্ধান করে জানা যায়, এ ধরনের ডুবোজাহাজ প্রথম ১৯৮৫ সালের দিকে তৈরি হয় এবং ১৯৯০ এর দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়। বিগত ২৪ বছর এ ডুবোজাহাজ দুটি চীন ব্যবহার করেছে। পুরোনো এই ডুবোজাহাজ দুটি ক্রয় করতে বাংলাদেশের গুণতে হয়েছে ২০ কোটি ৩৩ লাখ ডলার বা এক হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এ ধরনের নতুন একটি ডুবোজাহাজ কিনতে গেলে ১০০ কোটি ডলারের মতো গুণতে হয়।
কোন দেশের কতটি সাবমেরিন আছে?
১.চীন-৭৯
২.যুক্তরাষ্ট্র-৬৮
৩.রাশিয়া-৬৪
৪.উত্তর কোরিয়া-৩৬
৫.ইরান-২৯
৬.সাউথ-কোরিয়া-২২
৭.জাপান-২০
৮.ভারত-১৭
৯.তুর্কী-১২
১০.যুক্তরাজ্য-১১
১১.কলম্বিয়া-১১
১২.গ্রীস-১১
১৩.ফ্রান্স-১০
১৪.পাকিস্তান-০৯
১৫.মিশর-০৮
১৬.আলজেরিয়া-০৮
১৭.ইতালি-০৮
১৮.অস্ট্রেলিয়া-০৮
১৯.জার্মানি-০৬
২০.ব্রাজিল-০৬
২১.ভিয়েতনাম-০৬
২২.নরওয়ে-০৬
২৩.ইন্দোনেশিয়া-০৫
২৪.সুইডেন-০৫
২৫.ইসরায়েল-০৫
২৬.পেরু-০৫
২৭.তাইওয়ান-০৪
২৮.আজারবাইজান -০৪
২৯.কানাডা-০৪
৩০.চিলি-০৪
৩১.নেদারল্যান্ড-০৪
৩২.পোলান্ড-০৩
৩৩.সাউথ আফ্রিকা-০৩
৩৪.বাংলাদেশ -০২
৩৫.মালয়েশিয়া -০২
৩৬.স্পেন-০২
৩৭.পর্তুগাল-০২
৩৮.আর্জেন্টিনা-০২
৩৯.ভেনেজুয়েলা-০২
৪০.মায়ানমার-০১
ডুবোজাহাজ সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য
প্রথম দিকের ডুবোজাহাজে এক থেকে দুই জন যাত্রী অবস্থান করতে পারলেও বর্তমানে কিছু ডুবোজাহাজ একই সময়ে ১০০ জনেরও অধিক ক্রু বহন করতে পারে।
কিছু কিছু ডুবোজাহাজ টানা ২০-২৫ বছর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থান করতে পারে।
প্রথম দিকের ডুবোজাহাজগুলোতে গ্যাস, বাষ্প এমনকি মানব শক্তিও প্রধান শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
বিভিন্ন বেসামরিক কাজেও ডুবোজাহাজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন উদ্ধার অভিযান, গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান ইত্যাদি।
‘দ্য ক্রুস্ক’ নামক এক রাশিয়ান ডুবোজাহাজ অভ্যন্তরীণ বিস্ফোরণে ২০০০ সালে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে কর্মরত ১১৮ জন ক্রুর সকলেই নিহত হয়।