সিরিয়ার বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। শুক্রবার রাশিয়ার পেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নিবৃত্ত করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ভ্লাদিমির পুতিনআসাদ বাহিনীর বিমান হামলায় বিদ্রোহী অধ্যুষিত দুইটি এলাকায় প্রাণহানি ও মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনায় আসাদকে থামাতে পুতিনের প্রতি অনুরোধ করেন ম্যাক্রোঁ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় বিদ্রোহী অধ্যুষিত অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে হামলা চালাচ্ছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী। বিদ্রোহীদের শেষ দুইটি বড় ঘাঁটি পূর্ব ঘৌটা ও ইদলিবে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।
পূর্ব গৌহাটা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছেই অবস্থিত। ইদলিবের অবস্থান তুর্কি সীমান্তবর্তী এলাকায়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দফতর ইলিসি প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব গৌহাটা ও ইদলিবে জরুরি মানবিক পরিস্থিতিতে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে থামানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, শান্তি আলোচনা অগ্রগতি অর্জন অবশ্যই জরুরি। তবে সম্প্রতি নাগরিকদের ওপর যেভাবে ক্লোরিন বোমা ব্যবহার করা হয়েছে তা উদ্বেগজনক।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতর ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে সিরীয় শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটায় আসাদ বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, এই বিমান হামলায় আরবিনে ১৯ হন, জিসরিনে ১৭ জন, জামালকায় ২ জন, সাবকায় ৩ জন, মিসরাবায় ৩ জন, হুমুরিয়াতে ৭ জন ও বায়ত সাভায় ১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে ইদলিবে আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালায় রাশিয়া।
২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ার আসাদবিরোধী আন্দোলন গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এতে এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন।