সেভ দ্য চিলড্রেন দপ্তরে হামলায় নিহত ২,আইএসের দায় স্বীকার

0
আইএস

আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের দপ্তরে হামলায় অন্তত দুইজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আইএস
নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য রয়েছেন। আরেকটি মৃতদেহ কম্পাউন্ডের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু এখনও সনাক্ত হয়নি। আহত ১২ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হামলার সময় দপ্তরে ৫০ জন মত ছিল বলে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

ইসলামিক স্টেট তাদের আমাক বার্তা সংস্থায় হামলার দায় স্বীকার করলেও এ দাবির পক্ষে তাৎক্ষণিক কোনো প্রমাণ দেয়নি। তবে আমাক জানিয়েছে, একটি গাড়িবোমা হামলাসহ অন্য আরো তিনটি হামলা চালানো হয়েছে। তিন আইএস যোদ্ধা হামলা চালিয়েছে। এ হামলার লক্ষ্য ছিল জালালাবাদের ব্রিটিশ, সুইডিশ এবং আফগান সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

জালালাবাদে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ কম্পাউন্ডের বাইরে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে প্রথমে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা হয়। পরে বন্দুকধারীরা ভবনটিতে প্রবেশ করে।

প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খগিয়ানি বলেন, “হামলাকারীরা সেভ দ্য চিলড্রেন দপ্তরের ভেতরে প্রবেশ করেছে এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে।”

অনিশ্চিত কয়েকটি খবরে দুই হামলাকারী নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তারা পুলিশের পোশাক পরা অন্তত চার হামলাকারীকে দেখেছেন। এক বন্দুকধারী প্রবেশপথে রকেট চালিত গ্রেনেড হামলাও চালিয়েছে।

তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়নি। হামলা ঠেকাতে আফগান কমান্ডোদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পুলিশও।

স্থানীয় প্রতিবেদক বিলাল সারওয়ারি বলেছেন, বেজমেন্ট থেকে সেনাবাহিনী ৪৫ জনকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে। তবে ওপরের তলাগুলোতে এখনো লড়াই চলছে।

সম্প্রতি আফগানিস্তানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পোশাকে হামলার ঘটনা বেড়েছে। বুধবারের হামলার পর আফগান টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে সেভ দ্য চিল্ড্রেন কম্পাউন্ড থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডুলি ও অন্তত একটি গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গুলির শব্দের মধ্যেই নিকটবর্তী একটি স্কুলের শিশুদের দৌড়ে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে।
এর মাত্র চারদিন আগে তালেবান বন্দুকধারীরা রাজধানী কাবুলের বিলাসবহুল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে হামলা চালিয়ে অন্তত ২২ জনকে হত্যা করে। সেখানেও হামলাকারীরা আফগান সেনাদের পোশাক পরে এসেছিল।