গত ১৭ই জুলাই রোজ মঙ্গলবার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ- এর সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসকে সামনে রেখে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি সাহিত্য ফোরাম বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আয়োজন করে “স্মরণে বিস্মরণে হুমায়ূন ও হুমায়ূন চলচ্চিত্র প্রদর্শনী”।
এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সভাপতি “পুলক বিহারী দত্ত”। সেই সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটি অলংকৃত করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড.বিশ্বজিৎ ঘোষ স্যার। হুমায়ুন স্যারকে নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, হুমায়ুন স্যারের মত একজন প্রতিভান মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে তিনি ধন্য।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সেলিম চৌধুরী। তিনি বলেন, তিনি হুমায়ূন স্যারের ভালোবাসায় সিক্ত।
এছাড়া অনুষ্ঠানটি অলংকৃত করেন বহুমাত্রিক লেখক ও হুমায়ূন গবেষক “মুম রহমান” । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য ফোরামের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কবি “সাকিরা পারভিন সুমা” ও প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী “ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়”। ছিলেন স্টেয়ারিং কমিটির প্রধান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য “ফারাহনাজ ফিরোজ”। এছাড়াও উপস্থিত স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাডভাইজার “রেহানা আকতার” । অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য ফোরামের কনভেনার “মোকাররম হোসেন চৌধুরী”। সভাপতির বক্তৃতায় তিনি বলেন, হুমায়ূন সাহিত্য তাঁকে মুগ্ধ করে। সেই সাথে সাহিত্য ফোরামের সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় তারুণ্যের হুমায়ূন।
যেখানে হুমায়ূন সাহিত্যের কিছু চরিত্র ফুটে উঠে। অনুষ্ঠানে ফোরামটির সাবেক সভাপতি তরুণ আবৃত্তিকার অমিক শিকদার মুম রহমানের বাদশা বন্দনা কবিতাটি আবৃত্তি করেন, যে কবিতায় হুমায়ূন আহমেদের অনেক রচনা ফুটে উঠেছে। সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের অন্যতম অংশ হিসেবে হুমায়ূন চলচ্চিত্র ‘ঘেঁটু পুত্র কমলা’ দর্শকের নজর কাড়ে।
দ্বীন মোহাম্মাদ দুখু এবং ফারজানা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে হুনায়ূন স্যারের আত্মার মাগফেরাত করা হয়।হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকবেন বাঙ্গালীর হৃদয়ে অনন্তকাল।