একদিকে ৫৩ বছরের অপেক্ষা ঘুচানো শিরোপা, অন্যদিকে ৫৫ বছরের হতাশা আরও তরান্বিত। রোম যখন পুঁড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজালেও এবার দৃশ্যপট ভিন্ন। রোমে যখন আতশবাজির বর্ণিল আলোকসজ্জা, লন্ডনের ওয়েম্বলিতে তখন গুমোট অন্ধকার।
শিরোপার এত কাছে গিয়েও জিততে পারেনি থ্রি লায়ন্স ইংল্যান্ড। সেটি মানতে পারেনি সমর্থকদের একাংশ। ক্ষোভ মিটায় মাঠের বাইরে থাকা ইতালি সমর্থকদের পিটিয়ে। মুদ্রার অপর পিঠে ইতালিকে অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করেনি অনেকে। পাশাপাশি বাহবা দেন হ্যারিকেন, শ, স্টার্লিংদের।
‘ওরা ভালো খেলেছে। আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ইতালি যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে।’ ওয়েম্বলির বাইরে এমন মন্তব্য করেন এক ইংলিশ দর্শক। অন্য একজন বলছেন, ‘এত কাছে এসেও হেরে গেলাম। মন খারাপ লাগছে। কিন্তু ইতালি নিজেদের সেরাটা দিয়ে শিরোপা পেল।’
ইংল্যান্ডের হতাশ চিত্রের বিপরীত রোমে। আতশবাজি, নাচ, গানে ভক্তরা মাতিয়েছে শহর। রবার্তো মানচিনির জাদুর ছোঁয়ায় বদলল যাওয়া ইতালিকে সাধুবাদ জানান ইতালিয়ানরা। ‘মানচিনিকে ভালোবাসি। আমাদের ভাঙাচোরা দলকে অপ্রতিরোধ্য করে গড়ে তুলল সে।’