কোটি ভক্তের চোখ চৌকোণ পর্দায়। রেফারি বাঁশি বাজালেন। যুদ্ধ শুরু। আকাঙ্খিত যুদ্ধ। নির্ঘুম চোখে যতটুকু ঘুম বেঁচে ছিল, তাও চলে গেছে। মারাকানায় গুটিকয় দর্শক খেলা দেখার অনুমতি পেয়েছে। উজ্জীবিত হবার কথা স্বাগতিক ব্রাজিলের।
মেসি মরিয়া শিরোপা জিততে। সতীর্থরা তাকে জেতাতে। সপ্তম মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে লাউতুরো মার্তিনেজের ক্রস, মেসি ধরলেন সুবিধা হলো না। ২১ তম মিনিটে ডি মারিয়া সুযোগ কাজে লাগালেন। ডি পলের লম্বা ক্রস আনমার্কড মারিয়াকে খুঁজে পেল, দারুণ লবে বল জালে জড়ালেন। বড়ো ম্যাচে একটা সুযোগ মানেই সম্ভাবনা। ২৮ মিনিটে আবার মারিয়ার সুযোগ, এবার ক্লিয়ার করলেন ব্রাজিল দলপতি সিলভা। ৩২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে মাঝমাঠ ধরে মেসি একা টানলেন, ফিনিশিং টানতে পারলেন না।
এক গোলের লিড নিয়ে টানেলে আর্জেন্টিনা। বিরতির পর ব্রাজিল কিছুটা ছন্দে ফেরে। ৫২ মিনিটে রিচার্লিসন গোল করলেও বাতিল হয় অফসাইডে। মিনিট দুয়েক বাদে নেইমারের পাসে রিচার্লিসনের ওয়ান অন ওয়ান শট রুখে দেন আর্জেন্টাইন কিপার ইমি মার্তিনেজ। এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা এগোয়।
শেষ দশ মিনিটে ব্রাজিল চেষ্টা করে আপ্রাণ। গোল ছাড়া সবই হয়। ৮৬ মিনিটে সেটপিসে পাওয়া বলে গাবির দুর্দান্ত ভলি বাঁচান ইমি মার্তিনেজ। এরপর ফাইনাল হুইসেল। প্রথমার্ধে ডি মারিয়ার একমাত্র গোলটাই ঘটালো আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের ট্রফিখরার অবসান। ১৫ তম কোপা আমেরিকা জয় লা আলবিসেলেস্তেদের।