৬০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র

0
ট্রাম্প ও পুতিন

রাশিয়ার ৬০ জন কূটনীতিককে নিজ দেশ থেকে বরখাস্ত করার আদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া ওয়াশিংটন রাজ্যের সিয়াটলে রাশিয়ার কনস্যুলেট কার্যালয় বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪টি দেশও নিজেদের এলাকা থেকে বহিষ্কার করছে মস্কোর কূটনীতিকদের। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তাঁর মেয়েকে হত্যার চেষ্টার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ট্রাম্প ও পুতিন
রাশিয়ার কূটনীতিক বহিষ্কার করছে ইউরোপের যেসব দেশ তার মধ্যে জার্মানি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, চেক রিপাবলিকও আছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ওই ঘটনায় রাশিয়াকে সাজা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করছে হোয়াইট হাউস। এদিকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক জানান, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কাউন্সিলের নেওয়া সিদ্ধান্তেরই অনুসরণ।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের মাটিতে রাশিয়া ‘রাসায়নিক অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এ সিদ্ধান্ত রাশিয়ার গোয়েন্দাবৃত্তি কমাতে সাহায্য করবে এবং দেশটির নিরাপত্তাও ঝুঁকিমুক্ত করবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে আরো ভালো সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে তারা প্রস্তুত। তবে রাশিয়ার সরকারের ব্যবহার বদলালেই কেবল তা সম্ভব।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে ৬০ রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাঁরা গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার জন্য ওই কূটনীতিকরা সাতদিন সময় পাবেন। সিয়াটলের রুশ কনস্যুলেট কার্যালয়ের কাছেই যুক্তরাষ্ট্রে নৌবাহিনীর কার্যালয়। এ কারণে ওই কনস্যুলেটও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘ঘটনার বিকৃত ব্যাখ্যার ওপর ভর করে তাঁরা যুক্তরাজ্যকে সমর্থন করছে।’

চলতি মাসে যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সেরগেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালরে ওপর ‘নার্ভ এজেন্ট’ (স্নায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম বিষাক্ত বাসায়নিক পদার্থ) হামলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গত ৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের স্যালসবেরিতে ‘রাশিয়া মিলিটারি গ্রেড নার্ভ এজেন্ট’ বাবা ও মেয়ের ওপর হামলা চালানো হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতিতে দাবি করে ওই হামলা ছিল রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী চুক্তিভঙ্গের একটি নিদর্শন।

এর আগে নার্ভ এজেন্ট হামলার ঘটনায় ব্রিটেন ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এরপর রাশিয়াও পাল্টা জবাব দিয়ে ২৩ ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।