গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে আটক হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর সাবেক এক কর্মকর্তা। মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার জেরি চুন শিং লি নামে এই মার্কিন নাগরিককে হংকংয়ে রওনা হওয়ার আগে নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলছে, চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।
জেরি চুন শিং লি ১৯৯৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিআইএ’র হয়ে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এফবিআই’র একটি তদন্তের সূত্র ধরে তাকে আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনে সিআইএ’র ব্যর্থ একটি গোয়েন্দা অপারেশন ঘিরে ওই তদন্ত শুরু হয়। সাম্প্রতিক মার্কিন গোয়েন্দা ব্যর্থতার অন্যতম এই ঘটনায় আগের দুই বছরের মধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষের ২০জন তথ্য সরবরাহকারীকে হত্যা অথবা জেলে ঢোকানো হয়। একে মার্কিন গোয়েন্দা তৎপরতার ধ্বংসাত্মক ব্যর্থতা আকারে দেখা হচ্ছে। তবে কারা তথ্য ফাঁস করছে তার হদিস করতে পারেনি তদন্তকারীরা।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয় ২০০৭ সালে লি যখন সিআইএ ছেড়ে যান, তখন যারা তাকে চিনতেন তারা বলেছিলেন লি ক্যারিয়ার নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে ওই সংস্থা ছেড়ে যান। লি হংকংয়ে থেকে যান আর ২০১২ সালে একবারই আমেরকিায় ফিরে আসেন। সে সময় ভুয়া কাজের প্রস্তাব দিয়ে তিনি তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যান লি। আর এবারে শুধুমাত্র এবারেই ফিরে আসার পরে আটক হলেন।
মার্কিন বিচারবিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে এফবিআই এজেন্ট হাওয়াইয়ে এবং ভার্জিনিয়াতে তার হোটেল রুমে তল্লাশি চালিয়ে গোপন রেকর্ডসহ দুটি বই খুঁজে পায়। এসব বইয়ে হাতে লেখা বিস্তারিত নোট ছিলো। তাতে লেখা ছিলো পরিবর্তিত সিআইএ কর্মী আর সম্পদের আসল নাম আর ফোন নম্বর। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫৩ বছর বয়সী লি বেআইনিভাবে জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। আর তা প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার। কেস অফিসার হিসেবে সিআইএ-তে কাজ শুরু করেন জেন চেং লি নামেও পরিচিত জেরি চুন শিং লি। কেস অফিসার হিসেবে তিনি সর্বোচ্চ গোপনীয়তার ছাড় পেতেন আর তা ফাঁস না করতে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তিনি।