সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমালোচনা করার অভিযোগে কুয়েতি ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহ আল-সালেহকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে কুয়েতের ফৌজদারি আদালত। গত মাসে এ একই আদালত ‘সৌদি আরবের সমালোচনার’ অভিযোগে সালেহকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটর খবরটি জানিয়েছে।
আল সালেহ কুয়েতে ‘দ্য ব্রোঞ্জ’ নামে পরিচিত। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমালোচনা করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ মামলায় কুয়েতের ফৌজদারি আদালত তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে। কুয়েতি সংবাদমাধ্যম আল-কাবাস জানিয়েছে, সালেহ যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন। কুয়েতে ফেরার ইচ্ছে নেই বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
কাতারকে সৌদি আরবের বর্জনের সমালোচনা করে সম্প্রতি সালেহ টুইটারে পোস্ট ও ভিডিও শেয়ার করার পর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। অন্যান্য মামলা মিলিয়ে সালেহর সর্বমোট ৩১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। কুয়েতি এ অ্যাক্টিভিস্ট সম্প্রতি টুইটারে লিখেছেন, ‘কাতারকে বয়কট করা নিয়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অপমানজনক কথা লেখায় আমাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যা ঘটেছে এবং যে ভিডিওগুলো রেকর্ড করেছি তা নিয়ে আমার অনুশোচনা নেই। এটা আমার অধিকার।’
২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। দোহা জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্তের যোগান দিচ্ছে অভিযোগ করে সম্পর্কচ্ছেদ করা হয়। তবে কাতার অভিযোগগুলো নাকচ করে দিয়েছে।