প্রকৃত অর্থে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বাছতে বসলে মেসির থেকেও এগিয়ে রাখতে হয় উইলিয়ানকে। তবে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেন এলএম টেনই। একটা সুযোগ এবং একটা গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগের প্রি-কোয়ার্টারে বার্সেলোনাকে অ্যাডভান্টেজ এনে দেয় সুযোগ সন্ধানী আর্জেন্টাইন তারকাই। আন্দ্রেয়াজ ক্রিশ্চেনসেনের ভুলের সুযোগ নিয়ে শেষমেশ দ্য ব্লুজ-দের বিরুদ্ধে গোল খরা কাটালেন লিওনেল মেসি। একই সাথে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে উইলিয়ান শো মাটি করলেন এলএম টেন।
উইলিয়ানের গোলে পিছিয়ে পড়লেও কাতালান ক্লাবকে সমতায় ফিরিয়ে মেসিই ফিরতি ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পে স্বাগত জানিয়ে রাখেন চেলসিকে। বলাবাহুল্য, মেসির অ্যাওয়ে গোলের সুবাদেই ফিরতি লেগে বার্সেলোনা ফেভারিট নিজেদের ডেরায়। যদিও মেসি আতঙ্ক নীল বাহিনীকে স্বস্তিতে থাকতে দেবে না পাল্টা লড়াইয়েও।
প্রথমার্ধে দু-দু’বার উইলিয়ানের দূরপাল্লার শট পোস্টে প্রতিহত হয়। শেষ পর্যন্ত তৃতীয়বারের চেষ্টায় বার্সার জাল খুঁজে পায় উইলিয়ানের শট। ৬২ মিনিটে হ্যাজার্ডের পাস থেকে গোল করেন তিনি। ৭৫ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখলেও ক্রিশ্চেনসেনের একটা ভুলই জয়ের সম্ভাবনা দূর করে দেয় চেলসির।
নিজেদের বক্সে ক্রিশ্চেনসেনের ভুল পাস ইনিয়েস্তাকে মেসির জন্য গোলের রাস্তা তৈরি করে দিতে প্রলোভিত করে। ইনিয়েস্তার কাছ থেকে বল ধরে চেলসির বিরুদ্ধে প্রথমবার গোল করার নজির গড়েন লিও। ৯ ম্যাচে চেলসির গোল পোস্ট লক্ষ্য করে ৩০টি শট নেওয়ার পর অবশেষে সাফল্য পান তিনি। ৭৩০ মিনিট মাঠে থাকার পর শেষমেশ চেলসির গোলমুখ খুলতে সক্ষম হন মেসি। আর কোনও দলই মেসিকে এত দীর্ঘ সময় গোল করা থেকে আটকাতে পারেনি।
ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনও গোল না হওয়ায় ১-১ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ হয়। সুতরাং আগামী ১৪ মার্চ ন্যু ক্যাম্পে মেসিরা মানসিকভাবে এগিয়ে থেকে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করার লড়াইয়ে নামবে।