ঘরের মাঠে বরাবরই শক্ত প্রতিপক্ষ প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। গত রোববার রাতে মার্সেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবারও সেটা প্রমাণ করল উনাই এমেরির দল। নিজেদের মাটিতে লিগ ওয়ানের অন্যতম শক্ত প্রতিপক্ষ মার্সেইকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি। এই জয়ের ফলে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ক্লাবটি। গত অক্টোবরে মার্সেইয়ের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল নেইমারের ক্লাবটি। কিন্তু ঘরের মাঠে তাদের কোনো সুযোগই দেয়নি লিগ শিরোপার অন্যতম দাবিদার পিএসজি। ক্লাবের সেরা খেলোয়াড় নেইমারের ইনজুরির কারণে শেষ দিকে ১০ জন নিয়ে খেললেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি মার্সেই।
মাঠে ম্যাচ গড়ানোর ১০ মিনিটেই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে বাঁ পায়ের শটে গোলপোস্টের কাছ থেকেই লক্ষ্যভেদ করেন। ম্যাচের ২৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করতে হয় মার্সেইকে। এডিনসন কাভানির উদ্দেশে নেইমারের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে গোলপোস্টের দিকে বল ঠেলে দেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার রোলান্ডো।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে কাভানির গোলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় পিএসজির। নেইমারের অ্যাসিস্টে ডান পায়ের জোরালো শটে কোনাকুনি বল জালে পাঠান এই উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। এবারের লিগে এই নিয়ে সর্বোচ্চ ২৪ গোল করেন কাভানি। নেইমারের অ্যাসিস্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১৩।
ম্যাচের ৭৭ মিনিটে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার সময় পায়ে চোট পান বিশ্বের দামি খেলোয়াড় নেইমার। মাঠে কিছুক্ষণ চিকিৎসা নেওয়ার পর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় এই ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। আগেই তিনজন খেলোয়াড় বদলি করায় ম্যাচের বাকি সময় ১০ জন নিয়েই খেলতে হয় পিএসজিকে। তাতে অবশ্য মার্সেই কোনো সুবিধা পায়নি। ম্যাচের বাকি সময় কোনো গোল না হলে ৩-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে উনাই এমেরির দল।
লিগ ওয়ানে ২৭ ম্যাচে ২৩ জয় ও দুই ড্র নিয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৭১। ১৪ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকোর পয়েন্ট ৫৭।
চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হওয়ার আগে ঘরের মাঠে মার্সেইয়ের বিপক্ষে জিতে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়ার কথা বলেছিলেন পিএসজির কোচ এমেরি। গতকাল রাতের ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা পেলেও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়া নেইমারকে হারানোর শঙ্কা কিন্তু থেকেই গেল।