আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব বৃদ্ধি ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে চলেছে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড। আর এ জন্য ৪৭৫ কোটি ডলারে মার্কিন রেথিয়ন কোম্পানি থেকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে যাচ্ছে আন্দ্রেজ দুদা’র সরকার। মূলত প্রতিবেশি দেশ পুতিনের রাশিয়াকে সামাল দিতেই নিজেদের প্রতিরক্ষা খাত আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা করছে দেশটি।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এটি খুবই ব্যতিক্রমী ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রযুক্তি, আধুনিক অস্ত্রসম্ভার ও প্রতিরক্ষার বিশ্বে পোল্যান্ডেরও সূচনা হলো।’প্রসঙ্গত, রেথিয়নের সঙ্গে সম্পাদিত অস্ত্র কেনা চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ-যাবত্কালের মধ্যে সবচেয়ে বড় অস্ত্র ক্রয় চুক্তি।
২০১৪ সালে রাশিয়ার ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল এবং অঞ্চলটিতে রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দিক থেকে দেশটির প্রভাব বৃদ্ধির পর থেকেই নিজেদের অস্ত্রাগার ঢেলে সাজাচ্ছে পোল্যান্ড। দেশটির অস্ত্রাগারের দুই-তৃতীয়াংশ অস্ত্রই মস্কোর নেতৃত্বে সম্মিলিত প্রতিরক্ষা চুক্তি ওয়ারশ প্যাক্টের সময়ে। ১৯৫৫ সালের ১৪ মে চুক্তিটি সই হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র ক্রয় চুক্তির পর দেশটির সঙ্গে পোল্যান্ডের সম্পর্কে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে ওয়ারশ একটি বিল পাস করে, যেখানে বলা হয়, হলোকাস্টে পোল্যান্ডকে অভিযুক্ত করে কিছু বলা হলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিলটি পাসের পর থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে অবনতি ঘটতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এ ধরনের আইন বাকস্বাধীনতা বিঘ্নিত করে।