বর্তমানে চীনে হচ্ছে বোর্ড পরীক্ষা। সেখানকার নিয়ম শুনলে চমকে উঠতেই হচ্ছে। চীনে বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হয় যাবতীয় অত্যাধুনিক যন্ত্র। প্রশ্নফাঁস রুখতে রয়েছে কড়া আইনও। পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নপত্রের পাহারা এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের নজরদারিতে মোতায়েন থাকে দেশটির সর্বোচ্চ বাহিনী সোয়াট।
অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র এবং প্রশ্নপত্র পাহারা দেন তারা। এখানেই শেষ নয় প্রশ্নপত্র সঠিক জায়গায় ডেলিভারি হয়েছে কিনা তা ট্র্যাক করা হয় জিপিএসের মাধ্যমে। পরীক্ষার হলে নকল রুখতে রয়েছে আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোনও ছাত্র নকল করছে কিনা তা ধরতে মাথার উপরে ঘোরাফেরা করে ড্রোন। এতকিছু নজরদারির পর নকলতো দূরের কথা প্রশ্নফাঁস বিষয়টাই অসম্ভব হয়ে পড়ে চীনের ছাত্রছাত্রীদের কাছে।
এখানেই শেষ নয় প্রশ্নফাঁস বা নকল করলে তার জন্য আইনও তৈরি আছে। সাজা ৭ বছরের জেল। প্রতিবছর ১ কোটি ছেলেমেয়ে বোর্ড পরীক্ষা দেয় চীনে। তার মধ্যে মাত্র ৩০ লাখ ছাত্রছাত্রী পাস করে কলেজে পড়ার সুযোগ পায়।
পরীক্ষায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েকটি কেন্দ্র তো আবার মেটাল ডিটেক্টর, আঙুলের ছাপ, মুখের ছাপ নেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে ঘোরাফেরা করে ড্রোন। কোনও রেডিও সিগন্যাল পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা সেটা সহজেই বুঝতে পারে ড্রোন। সেই মত পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়।