পাকিস্তানে ফের ধর্ষণের শিকার হল আট বছরের এক শিশু। এমনকি ধর্ষণের পর তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চিচাওয়াতনি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের সরকারি গার্লস স্কুলের গ্রেড টু-এ পড়ত ওই বালিকা। রবিবার স্থানীয় একটি দোকানে মিষ্টি কিনতে গিয়েছিল সে। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। শেষে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের ফাঁকা রাস্তায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে স্থানীয় চিচাওয়াতনি এলাকার হাসপাতালে ভর্কি করা হয় বালিকাকে।
পরে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে। প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর শরীর। পরিস্থিতির অবনতি হলে লাহোরের জিন্নাহ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বালিকার। ঘটনার পরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পাঞ্জাব প্রদেশ। অবিলম্বে দোষীকে গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে। একই সঙ্গে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পাক পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয় পাকিস্তানের জয়নাব ধর্ষণের ঘটনার কথা। একইভাবে বাড়ির সামনের এলাকা থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল ছয় বছরের বালিকা। বেশ কয়েকদিনের খোঁজের পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল আবর্জনার স্তূপ থেকে। ঘটনার নৃশংসতায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল পাক মুলুকে।
‘জাস্টিস ফর জয়নাব’ স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল গোটা পাকিস্তান। এমনকি, নিজের সন্তানকে নিয়ে খবর পড়তে বসে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন টেলিভিশন চ্যানেলের সঞ্চালিকাও। শেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত। ২৩ বছরের ইমরান আলি আদতে জয়নাব ও তার পরিবারের প্রতিবেশী ছিল। গ্রেপ্তারির পর ডিএনএ টেস্ট হয়। নমুনা মিলে যাওয়ার পর খুন ও ধর্ষণের কথা কবুল করে সে। নিজের জবানবন্দিতে ইমরান জানিয়েছিল, তার উপর দুষ্টু জিন ভর করেছিল। তাই সে এ কাজ করেছিল। পুলিশের মতে ইমরান একজন সিরিয়াল কিলার এবং নৃশংসতার পর এতটাই ভাবলেশহীন ছিল যে জয়নাবের শেষকৃত্যেও অংশগ্রহণ করেছিল। পাঞ্জাব প্রদেশের বালিকার ক্ষেত্রেও এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।