প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কানাডার অন্টারিওর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে স্কারবারো সাউথওয়েস্ট আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন ডলি বেগম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে রাতেই ফল ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিস।
-সূত্র দা স্টারের।
১৬ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়েছেন ডলি বেগম, যা তার সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে পাঁচ হাজার বেশি। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারি এলিস পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৭১ ভোট।
দেশটির নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) হয়ে প্রার্থী ছিলেন ডলি। এতে তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বর্তমানে দায়িত্বরত লিবারেলস পার্টির লোরেঞ্জো বেরারডিনেট্টি ও পিসি পার্টির গ্যারি এলিস।
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায় ডলির জন্ম। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি কানাডায় চলে যান।
কানাডায় গিয়ে জীবনের চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় পড়লে অনেক বছর হাসপাতালে থাকতে হয়েছে।
২০১২ সালে ডলি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরেন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে।
সিটি অব টরেন্টোতে পড়ালেখা শেষ করে প্রায় ১০ মাস কাজ করেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেন দ্য সোসাইটি অব অ্যানার্জি প্রফেশনান্সে।
ডলি প্রদেশের কিপ হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্কারবারো স্বাস্থ্য জোটের সহসভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া ওয়ারডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের উপপ্রধান তিনি।
বাবা-মা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে অধিকাংশ সময় তিনি স্কারবারোতে বসবাস করেন।
ড্যান নিউম্যানকে হারিয়ে ২০০৩ সালে তিনি প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সদস্য (এমপিপি) হন। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ডলি বেগমের কাছে পরাজয়ের আগ পর্যন্ত তিনি সেখানকার এমপিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।