গুহায় আটকে পড়া খুদে ফুটবল দলের ১২ সদস্য ও তাদের কোচকে বাইরে বের করে আনা হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছে থাই নেভি সিল নিজেদের ফেইসবুক পাতায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১২ ওয়াইল্ড বোয়ার ও তাদের কোচ গুহা থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং তারা নিরাপদ আছে।’
মঙ্গলবার উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিন চার কিশোর ও তাদের কোচকে গুহা থেকে বের করে আনেন ডুবুরিরা।
তার আগে রোববার চার কিশোর ও সোমবার চার কিশোরকে বের করে আনা হয়।
ফুটবল দল ও তাদের কোচকে গুহা থেকে বের করে আনার মধ্যদিয়ে ১৭ দিনের ক্লান্তিকর এক অভিযান শেষ হতে যাচ্ছে।
জুনের ২৩ তারিখ থাই কিশোর ফুটবল দলের ১২ সদস্য ও তাদের কোচ চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশের পর আটকা পড়েছিল। বৃষ্টিতে গুহার প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর বের হতে পারেনি।
৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২ জুলাই গুহার ভেতরে জীবিত অবস্থায় তাদের শনাক্ত করেন ডুবুরিরা। রবিবার (৮ জুলাই ২০১৮) থাইল্যান্ড সরকার তাদের উদ্ধারে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
অভিযান শুরুর দিনই চারজনকে এবং সোমবার আরো চারজনকে উদ্ধার করা হয়। আর আজ মঙ্গলবার বাকী পাঁচজনকে উদ্ধার করার মধ্য দিয়ে এই অভিযান সমাপ্ত হলো।
গুহায় এক ডুবুরির মৃত্যু
থাই নেভি সিলের একজন সাবেক ডুবুরি এই অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে মারা গেছেন। সামান কুনান নামের ওই ডুবুরিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে এবং তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে।
গত শুক্রবার গুহায় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করে ফিরে আসার সময় নিজেই অক্সিজেনের অভাবে মারা যান ৩৮ বছর বয়সী ওই ডুবুরি। গুহা থেকে বের হওয়ার সময় এক মাইল বাকী থাকতে তিনি অক্সিজেনের অভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় তার সঙ্গে থাকা আরেক ডুবুরি তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আর জ্ঞান ফিরেনি। কারণ ইতিমধ্যেই তিনি চলে যান না ফেরার দেশে।
