ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত শুক্রবার।
পুরনো দল জ্যামাইকা তালাওয়াস আবারও বেছে নিয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। সাকিবও পুরনো দলে খেলার সুযোগ পেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।
তবে সিপিএলে সাকিবের খেলা এখনও অনিশ্চিত। সিপিএল খেলতে হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনাপত্তিপত্র (এনওসি) লাগবে তার। কারণ সাকিব বিবিসির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। বিসিবি আভাস দিয়েছে, আসন্ন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার জন্য সাকিবের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
সাকিব আল হাসানের সিপিএলে খেলা নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান শনিবার ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা সিপিএলের জন্য অনাপত্তিপত্র নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। সময় হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা অবশ্যই আমাদের পুরো শক্তির দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বিপক্ষে খেলতে চাই।’
আকরাম খানের এমন কথায় এটিই বোঝা যাচ্ছে, পূর্ণশক্তির দল গঠন মানে আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশ একাদশে অবশ্যই সাকিবের উপস্থিতি কাম্য। তাই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজসেরা অলরাউন্ডারকে হাতছাড়া করতে রাজি নয় বিসিবি।
উল্লেখ্য, সিপিএলের নতুন মৌসুম শুরু হবে ২৮ আগস্ট থেকে। সেই সময়ে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সিরিজ থাকবে।
এদিকে আগামী ৩১ মে থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। যেখানে মোহামেডান দলের নেতৃত্ব দেবেন সাকিব। সে জন্য পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ডিপিএল শেষেই আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে জিম্বাবুয়ে সফর যাবে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরেই আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন টাইগাররা।
এর পর একই ফরম্যাট ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এর পর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড দল।
অর্থাৎ সামনে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত সূচিতে ঠাসা। দেশের হয়ে এমন সব সিরিজের মধ্যে সাকিবকে ক্যারিবীয়দের দেশে উড়ে যেতে দিতে রাজি নয় বিবিসি।
তথ্যসূত্র: ক্রিক ট্র্যাকার