শুক্রবার হৃদযন্ত্রে সফল অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ডেনমার্ক মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইউরো কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চলার সময় অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া ডেনমার্ক ফুটবলারের হৃদযন্ত্রে “হার্ট ডি-ফিব্রিলেটর” নামক যন্ত্র লাগানো হয়েছে যা এরিকসেনের হার্ট-রেট মনিটর করবে। এরিকসনকে আপাতত বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। এরিকসেন এক বিবৃতিতে বলছেন “ অপারেশন ভালো গিয়েছে এবং আমি এই পরিস্থিতিতে ভালো বোধ করছি।“
ছাড়া পেয়েই দলের পাশে এরিকসন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই ইউরো কাপে ব্যস্ত ডেনমার্ক ফুটবল দলের সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে যান ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। এরিকসেন কে ছাড়া ছন্নছাড়া ডেনমার্ক হেরে যায় ফিনল্যান্ডের সাথে। সেই ম্যাচের পর বেলজিয়ামের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে ড্যানিশ শিবির। তা সত্ত্বেও সহ-খেলোয়াড়দের আশাহত হতে না করেছেন এরিকসন। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ডেনমার্ক ফুটবল দল যে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে, তাও জানিয়েছেন ২৯ বছরের মিডফিল্ডার। তাঁর বার্তা, আগামী সোমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরো কাপের মরণবাঁচন ম্যাচ ডেনমার্ক ফুটবলারদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। ডেনমার্ক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশেনের পোস্ট করা বিবৃতিতে তাঁর জন্য প্রার্থনা করা সকল ফুটবল ফ্যানকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন এরিকসন।
গত শনিবার কোপেনহেগেনে নিজের ঘরের মাঠে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইউরো কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ৪৩ মিনিটের মাথায় সময় হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফুটবলারের জ্ঞান ফিরে এলে তাঁরে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
মুহুর্তেই পুরো স্টেডিয়াম শোকে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। পরবর্তি ঘন্টা দুয়েক পুরো বিশ্বের মানুষ এরিকসেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদবিগ্ন সময় পার করে। ইউয়েফা পরবর্তীতে টুইট করে জানায় স্থিতিশীল আছেন এরিকসেন এবং আবার মাঠে গড়াবে থেমে যাওয়া খেলা। ওই ম্যাচ ১-০ গোলে হেরেও গিয়েছিল ডেনমার্ক। হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই ড্যানিশ ফুটবলারের এই পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়ে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নীরিক্ষার পর ইন্টার মিলানের মিডফিল্ডারের হৃদযন্ত্রে কৃত্রিম ডিভাইস বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফের কবে ফুটবল মাঠে নামতে পারবেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। ডাক্তারদের একাংশের দাবি, আইসিডি বসানোর পর মাঠে নেমে গা ঘামানো ২৯ বছরের ফুটবলারের পক্ষে বিপজ্জনক। তাতে আশাহত হচ্ছেন না ফুটবল প্রেমীরা। তবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ইন্টার তারকার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার খবর সবাইকে নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দিচ্ছে। প্রিয় মিডফিল্ডারকে ফের মাঠে স্বমহিমায় দেখা যাবে বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।