মায়ামিতে ভবন ধসে এখনো নিখোঁজ ৯৯

0

ফ্লোরিডার মায়ামিতে সার্ফসাইড শহরে বহুতল ভবনের একাংশ ধসের ঘটনায় এখনও ৯৯ জনের মেলেনি কোনো খোঁজ।

সিএনএন জানিয়েছে, চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউদ নামের ভবনটির একটি অংশ ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক নারী মারা গেছে এবং ১০২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ভবনটি ধসের সময় ভেতরে কতজন ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। ধ্বংসস্তুপে জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।

কমিশনার টার্লস কেসল বলেন, আংশিক ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও মানুষকে উদ্ধার করার আশা রয়েছে।

১৯৮০ সালে নির্মিত ১৩০ ইউনিটের ওই কমপ্লেক্সের অর্ধেকটা হঠাৎ ধসে পড়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের কনসুলেট থেকে জানানো হয়েছে তাদের বেশ কয়েকজন নাগরিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

প্যারাগুয়ের কর্মকর্তারা জানান, নিখোঁজদের মধ্যে সেদেশের ফার্স্ট লেডির কয়েকজন আত্মীয় আছেন। উদ্ধারকর্মীরা ফার্স্ট লেডি সিলভানা লোপেজ মোরেইরার বোন-ভগ্নিপতি, তাদের তিন সন্তান ও কাজের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস ব্রুকেট বৃহস্পতিবার বলেন, “দুর্ঘটনার প্রায় ২১ ঘণ্টা পার হতে চললো, তারপরেও আমি আশাবাদী উদ্ধারকাজে নিয়োজিতরা ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে পারবে।” তিনি আরো জানান, বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হলেও কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করার চিন্তা করছে না।

ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টের একজন অধ্যাপক শিমন উডোভিনস্কি জানিয়েছেন, গত বছর তিনি একটি গবেষণায় দেখিয়েছিলেন চ্যামপ্লেইন টাওয়ারস সাউদ কনডো ১৯৯০ এর দশক থেকে দেবে যাওয়ার ইঙ্গিত ছিল। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বহুতল ভবনটি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বছরে দুই মিলিমিটার করে দেবেছে।

তবে অধ্যাপক উডোভিনস্কি জানান, শুধু দেবে যাওয়ার কারণে এভাবে ভবন ধসে যেতে পারে না, হতে পারে এটা একটি প্রভাবক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ফ্লোরিডার গভর্নরের জরুরি অবস্থা ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন এবং ফেডারেল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির কর্মীরা এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।