‘অ্যাওয়ে’ গোল বাতিল করল উয়েফা

0
এক বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, তারা তাদের সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম নিয়মিতই বিভিন্ন দলকে ভোগায়। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এই নিয়মের কারণেই পিএসজির কাছে হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। একইভাবে ২০১৯ চ্যাম্পিয়নস লিগে টটেনহামের কাছে হেরেছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। ২০২১–২২ মৌসুম থেকেই অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম বাতিল হচ্ছে বলে জানিয়েছে উয়েফা। উয়েফা নারী ফুটবল কমিটি ও উয়েফা ক্লাব কম্পিটিশন কমিটির দেওয়া প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে উয়েফার নির্বাহী কমিটি। এই সিদ্ধান্তের পর উয়েফা আয়োজিত পুরুষ, নারী ও যুব পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোর নকআউট পর্ব ও বাছাইপর্বের খেলায় প্রতিপক্ষের মাঠের গোল অর্থাৎ অ্যাওয়ে গোল কোনো প্রভাব ফেলবে না। নতুন মৌসুমে যদি দুই লেগের খেলার মোট ১৮০ মিনিট শেষে দুই দলের গোল সমান হয়, তবে আরও ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের খেলা হবে। এতেও ফলাফল না পেলে পেনাল্টি শুটআউটের মাধ্যমে ম্যাচের বিজয়ী নির্ধারিত হবে। উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দর সেফেরিন এব্যাপারে বলেন, ‘১৯৬৫ সাল থেকেই অ্যাওয়ে গোল উয়েফার টুর্নামেন্টগুলোর অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। তবে গত কয়েক বছরে উয়েফার বিভিন্ন সভায় এই নিয়ম বাতিল করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্তটিতে সবাই হয়তো সম্মত হননি। কিন্তু ভক্ত, কোচ এবং ফুটবলের সঙ্গে জড়িত অনেকেই এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অনেকেই বাতিলের পরামর্শও দিয়েছেন।’ উয়েফার বিবৃতিতে পরিসংখ্যান দিয়ে অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম বাতিলের পক্ষে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে সত্তরের দশকের পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া ম্যাচ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, নিজেদের মাঠে ও প্রতিপক্ষের মাঠে দলগুলোর পারফরম্যান্সের পার্থক্য অনেক কমে এসেছে। একটা সময় ৬১ ভাগ ম্যাচই স্বাগতিক দল জিতলেও বর্তমানে সংখ্যাটা ৪৭ ভাগে নেমে এসেছে। আর প্রতিপক্ষের মাঠে একসময় মাত্র ১৯ ভাগ ম্যাচ জয়ের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩০ শতাংশ হয়েছে। নিজেদের মাঠে দলগুলোর ম্যাচ প্রতি গোল ২.০২ থেকে কমে ১.৫৮-এ নেমে এসেছে। অন্যদিকে বিপক্ষের মাঠে গোল ০.৯৫ থেকে ১.১৫–এ উঠে এসেছে। তবে নারী চ্যাম্পিয়নস লিগে এক যুগ ধরেই ঘরের মাঠে গড়ে ১.৯২টি গোল দেয় দলগুলো। বিপক্ষের মাঠে দেয় ১.৬টি। এই সিদ্ধান্তটি আরো আগে নেওয়া হলে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বার্সেলোনার হয়ে শেষ ম্যাচটি অন্যরকমও হতে পারতো। ২০১৮ সালে বার্সেলোনাকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। বার্সা লা লিগা ও কোপা দেল রে জিতে তাঁকে সম্ভাব্য সেরা বিদায়ী উপহার ব্যবস্থাও করে রেখেছিল। তারসাথে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে সেটা হতো সোনায় সোহাগা। তবে বার্সা ফ্যানদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো রোমের রাত তাতে বাধা হয়ে উঠল। ২০১৮ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ৪-১ গোলে জিতে নেয় বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে রোমার মাঠে ৮০ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে ছিল ২-০ গোলে। এসময় ইনিয়েস্তাকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়। ঠিক তখনই, ইনিয়েস্তা উঠার পরপরই তৃতীয় গোলটি দিয়ে বসলেন রোমার কস্তাস মানোলাস। হতভম্ব হয়ে শূন্যদৃষ্টিতে ডাকআউট থেকে তাকিয়ে রইলেন ইনিয়েস্তা। ম্যাচের দুই লেগ মিলিয়ে দুই দলের গোল সমান হলেও বিপক্ষের মাঠের গোল বা ‘অ্যাওয়ে’ গোলের নিয়মে যে বার্সেলোনাই পিছিয়ে। অ্যাওয়ে গোলের কারণে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইনিয়েস্তার শেষ ম্যাচটা বার্সা হেরে গেল। আশা করা যায়, নতুন সিদ্ধান্ত বার্সা ফ্যানদের মতো বাকিদের জন্যও খুশির কারণ হবে।

এক বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, তারা তাদের সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম নিয়মিতই বিভিন্ন দলকে ভোগায়। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এই নিয়মের কারণেই পিএসজির কাছে হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। একইভাবে ২০১৯ চ্যাম্পিয়নস লিগে টটেনহামের কাছে হেরেছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
২০২১–২২ মৌসুম থেকেই অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম বাতিল হচ্ছে বলে জানিয়েছে উয়েফা।

উয়েফা নারী ফুটবল কমিটি ও উয়েফা ক্লাব কম্পিটিশন কমিটির দেওয়া প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে উয়েফার নির্বাহী কমিটি। এই সিদ্ধান্তের পর উয়েফা আয়োজিত পুরুষ, নারী ও যুব পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোর নকআউট পর্ব ও বাছাইপর্বের খেলায় প্রতিপক্ষের মাঠের গোল অর্থাৎ অ্যাওয়ে গোল কোনো প্রভাব ফেলবে না। নতুন মৌসুমে যদি দুই লেগের খেলার মোট ১৮০ মিনিট শেষে দুই দলের গোল সমান হয়, তবে আরও ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের খেলা হবে। এতেও ফলাফল না পেলে পেনাল্টি শুটআউটের মাধ্যমে ম্যাচের বিজয়ী নির্ধারিত হবে।

উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দর সেফেরিন এব্যাপারে বলেন, ‘১৯৬৫ সাল থেকেই অ্যাওয়ে গোল উয়েফার টুর্নামেন্টগুলোর অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। তবে গত কয়েক বছরে উয়েফার বিভিন্ন সভায় এই নিয়ম বাতিল করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্তটিতে সবাই হয়তো সম্মত হননি। কিন্তু ভক্ত, কোচ এবং ফুটবলের সঙ্গে জড়িত অনেকেই এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অনেকেই বাতিলের পরামর্শও দিয়েছেন।’

উয়েফার বিবৃতিতে পরিসংখ্যান দিয়ে অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম বাতিলের পক্ষে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে সত্তরের দশকের পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া ম্যাচ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, নিজেদের মাঠে ও প্রতিপক্ষের মাঠে দলগুলোর পারফরম্যান্সের পার্থক্য অনেক কমে এসেছে। একটা সময় ৬১ ভাগ ম্যাচই স্বাগতিক দল জিতলেও বর্তমানে সংখ্যাটা ৪৭ ভাগে নেমে এসেছে। আর প্রতিপক্ষের মাঠে একসময় মাত্র ১৯ ভাগ ম্যাচ জয়ের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩০ শতাংশ হয়েছে। নিজেদের মাঠে দলগুলোর ম্যাচ প্রতি গোল ২.০২ থেকে কমে ১.৫৮-এ নেমে এসেছে। অন্যদিকে বিপক্ষের মাঠে গোল ০.৯৫ থেকে ১.১৫–এ উঠে এসেছে। তবে নারী চ্যাম্পিয়নস লিগে এক যুগ ধরেই ঘরের মাঠে গড়ে ১.৯২টি গোল দেয় দলগুলো। বিপক্ষের মাঠে দেয় ১.৬টি।

এই সিদ্ধান্তটি আরো আগে নেওয়া হলে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বার্সেলোনার হয়ে শেষ ম্যাচটি অন্যরকমও হতে পারতো। ২০১৮ সালে বার্সেলোনাকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। বার্সা লা লিগা ও কোপা দেল রে জিতে তাঁকে সম্ভাব্য সেরা বিদায়ী উপহার ব্যবস্থাও করে রেখেছিল। তারসাথে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে সেটা হতো সোনায় সোহাগা। তবে বার্সা ফ্যানদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো রোমের রাত তাতে বাধা হয়ে উঠল। ২০১৮ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ৪-১ গোলে জিতে নেয় বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে রোমার মাঠে ৮০ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে ছিল ২-০ গোলে। এসময় ইনিয়েস্তাকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়।

ঠিক তখনই, ইনিয়েস্তা উঠার পরপরই তৃতীয় গোলটি দিয়ে বসলেন রোমার কস্তাস মানোলাস। হতভম্ব হয়ে শূন্যদৃষ্টিতে ডাকআউট থেকে তাকিয়ে রইলেন ইনিয়েস্তা। ম্যাচের দুই লেগ মিলিয়ে দুই দলের গোল সমান হলেও বিপক্ষের মাঠের গোল বা ‘অ্যাওয়ে’ গোলের নিয়মে যে বার্সেলোনাই পিছিয়ে। অ্যাওয়ে গোলের কারণে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইনিয়েস্তার শেষ ম্যাচটা বার্সা হেরে গেল।

আশা করা যায়, নতুন সিদ্ধান্ত বার্সা ফ্যানদের মতো বাকিদের জন্যও খুশির কারণ হবে।