মরনে মরকেলের তল পেটের মাংসপেশির চোটে ছিটকে পড়াটা আরেকজনের জন্য খুলে দিয়েছে টেস্ট দলে ঢোকার দরজা। তাও আবার এমন একজনের জন্য, যিনি কিনা নিজেও ভাবতে পারেননি যে এত বড় চমক অপেক্ষা করে আছে তাঁর জন্য। তিনি ডেন প্যাটারসন।
দক্ষিণ আফ্রিকান ফ্র্যাঞ্চাইজি কেপ কোবরার এই ফাস্ট বোলার আগেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে সেই অভিজ্ঞতা মাত্র চারটি টি-টোয়েন্টির। সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট থেকে যে হুট করেই ঢুকে পড়তে পারেন টেস্ট দলে সেটি কল্পনাতীত ছিল প্যাটারসনের।
বান্ধবীকে দারুণ সুসংবাদটি দেওয়ার সময়ও ঘোর কাটছিল না ডানহাতি এই ফাস্ট বোলারের। কেপ কোবরার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটকে তিনি সে কথা অকপটে বলেছেনও, টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার দারুণ খবরটি দেওয়ার জন্য যখন নিকোল উইলিয়ামকে ফোন দিলাম, তখনো ঘোর কাটছিল না আমার। আমার মধ্যে মিশ্র অনুভূতিই কাজ করছিল। কিছুটা ভয় ভয়ও করছিল। আনন্দ এবং নার্ভাসনেসের মিশেলই বলতে পারেন।
৮৫ ম্যাচের ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারে ২৮৫ উইকেট পাওয়া প্যাটারসনের বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ অক্টোবর থেকে ব্লুমফন্টেইনে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের শেষ টেস্টে অভিষেকও হয়ে যেতে পারে। তিনি অবশ্য এই ডাক পাওয়ার মাধ্যমে আরো কিছু সুযোগও লুফে নিতে চান, ল্যাঙ্গারসের (দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট) সঙ্গে কাজ করার সুযোগও খুব করে চাইছিলাম আমি। পচেফস্ট্রুমের উইকেট যে তাঁর পছন্দ হয়নি, সেটি প্রকাশ্যেই বলেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। একই সঙ্গে ব্লুমফন্টেইনে বাউন্সি উইকেটও চেয়ে রেখেছেন। যেখানে সুযোগ পেলে প্যাটারসনও নাকাল করে ছাড়তে চাইবেন সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানদের। হুট করে পাওয়া সুযোগটি যে তাঁর জন্য হয়ে উঠতে পারে টেস্টে নিজের সামর্থ্য প্রমাণের মঞ্চও। তাঁকে সে জন্য মঞ্চে ওঠার সুযোগ করে দিলেন চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে পড়া মরনে মরকেলই।