শেষ হলো ১৭ দিনের মহাযজ্ঞ। ২৩ জুলাই জাপানের রাজধানী টোকিওতে শুরু হয় গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিকের এবারের আসর। বসে ১১ হাজারের বেশি অ্যাথলেটের মিলনমেলা। আয়োজক থেকে শুরু করে সম্প্রচারক, স্বেচ্ছাসেবী, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ।
রবিবার (৮ আগস্ট) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো গেমসের। যে মশাল গত ২৩ জুলাই জ্বালানো হয়েছিল, সেই মশাল নিভিয়ে দেওয়া হলো ১৭ দিন পর। ২০২৪ এ সেই মশাল জ্বলে উঠবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।
করোনা মহামারির ফলে এক বছর পিছিয়ে দেওয়া গেমসের সূচি। ২০২০ সালের পরিবর্তে আয়েজিত হয় ২০২১ সালে। এ বছরও গেমস আয়োজন করা যাবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। কারণ, গেমস যত ঘনিয়ে আসছিল, জাপানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। অন্যদিকে অলিম্পিক আয়োজনের বিরোধিতা করে টোকিওর সড়কগুলোতে নিয়মিত হচ্ছিলো বিক্ষোভ।
এতকিছুর পরেও গেমস আয়োজক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় জরুরি অবস্থা জারি থাকলেও গেমস আয়োজন করা হবে। সব বাধা-বিপত্তি ঠেলে অবশেষে গত ২৩ জুলাই জ্বালানো হয় অলিম্পিকের মশাল। জাপানের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী টেনিস তারকা নাওমি ওসাকার হাতে জ্বলে উঠে গেমসের মশাল। জাপানের সম্রাট নারুহিতো অলিম্পিকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বর্ণিল আলোকসজ্জা, জাপানের নানা সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে দিয়ে পর্দা উঠেছিল টোকিও অলিম্পিকের।
বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ক্রীড়াযজ্ঞে ৫০টি ডিসিপ্লিনে মোট ৩৩৯টি সোনার লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। ২০৬ দেশের মোট ১১ হাজার ৬৫৬ জন অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করেন অলিম্পিকে। করোনার কারণে ছিল কড়া বিধি-নিষেধ। তবুও ভালোয় ভালোয় শেষ করতে পেরেছে আয়োজক জাপান।