অভিনেতা নাসির খানের জন্মদিন আজ

0
অভিনেতা নাসির খানের জন্মদিন আজ

ফর্সা। লম্বা। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। মুখে ঘন কালো দাড়ি। শান্ত-অভিজাত চেহারা। ভরাট কণ্ঠস্বর। মুচকি হাসিতে তাকে অপূর্ব লাগে। যখন সিনেমায় ভিলেনের চরিত্রে থাকতেন সেই তার অট্টহাসি বুকে ভয় ধরাতো। বলছি ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেতা নাসির খানের কথা।

আশির দশকে তার পর্দায় আগমন। নব্বই দশক মাতিয়েছেন দোর্দণ্ড প্রতাপ নিয়ে৷ আমৃত্যু একজন জাঁদরেল অভিনেতা হিসেবে কাজ করে গেছেন সিনেমার অভিনয়শিল্পী হিসেবে।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর প্রয়াত অভিনেতার জন্মদিন।

নাসির খান ১৯৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বরিশালের অন্তর্গত বর্তমানে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা করেছেন জগন্নাথ কলেজে, হিসাববিজ্ঞানে এম কম। জগন্নাথ কলেজের ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

কলেজে থাকাকালীন অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। যাতায়াত শুরু করেন মঞ্চে। সেখান থেকেই সিনেমায় নাম লেখান। তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘চোর’ মুক্তি পায় ১৯৮৫ সালে। দিনে দিনে নিজেকে খল চরিত্রে জনপ্রিয় করে তোলেন তিনি। সাবলীল অভিনয় দিয়ে দারুণ কিছু চরিত্র নিয়ে দর্শকের হৃদয়ে আজও অমলিন নাসির খানের স্মৃতি।

এটিএম শামসুজ্জামান, হুমায়ুন ফরীদি, রাজিব, আহমেদ শরীফ, সাদেক বাচ্চুদের মতো ডাকসাইটে খলনায়কদের ভিড়েও নিজেকে আলোচনায় আনতে পেরেছিলেন নাসির খান।

ক্যারিয়ারজুড়ে উপহার দিয়েছেন বেদের মেয়ে জোসনা, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, দেন মোহর, মায়ের অধিকার, স্বপ্নের নায়ক, এই ঘর এই সংসার, দুনিয়ার বাদশা, গরিবের রাণী, রাক্ষস, মাস্তান, নিষ্ঠুর, স্ত্রী হত্যা, মিথ্যা অহংকার, হাঙর নদী গ্রেনেড, ভালোবাসার ঘর, যোদ্ধা, পালাবি কোথায়, বেনাম বাদশা, বেঈমানী, শঙ্খমালা, সন্ত্রাসী মুন্না, আলিফ লায়লা, সিদ্ধান্ত, জামাই শ্বশুর, লাল দরিয়া ইত্যাদি সিনেমা।

দর্শকের তো বটেই, নাসির খান ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পীদেরও প্রিয় একজন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বাধিক ভোটে নির্বাচিত সদস্যও ছিলেন দীর্ঘদিন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নাসির খান।