যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিকমার গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য কঠোর অবস্থান বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরনের মেরুকরণ ঘটাবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তির ‘পুনর্মূল্যায়নের’ করার ঘোষণা দিতে পারেন ট্রাম্প। আর এর আগেই এ হুঁশিয়ারি দিলেন জিকমার।
তিনি বলেন, ইরানের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য কঠোর অবস্থান ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চীন বা রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তিকে অনুমোদন দেবেন না। কারণ তিনি মনে করেন এ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থবিরোধী।
ট্রাম্পের সম্ভাব্য এই অবস্থানের কারণে চুক্তি বাতিল হবে না বটে। তবে এর মাধ্যমে ট্রাম্প ইরানের ওপর অবরোধ আবার নতুন করে আরোপ করা হবে কি না সে বিষয়ে কংগ্রেসকে ৬০ দিন সময় বেঁধে দেবেন।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পরিদর্শকেরা বলছেন, দেশটি এ চুক্তির কারিগরি দিকগুলো মেনে চলছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তেহরান চুক্তিটির মৌলিক চেতনা লঙ্ঘন করছে। আবার দেশটি হিজবুল্লাহ বা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অর্থ এবং অন্যান্য সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়ে জিকমার বলেন, ‘এ বিষয়ে ইউরোপের কঠোর অবস্থান নেওয়া খুবই জরুরি। আমি যুক্তরাষ্ট্রে এও বলে দিতে চাই এর ফলে ইউরোপ রাশিয়া এবং চীনের অবস্থানের প্রতি ঝুঁকে পড়বে।’ জার্মানির আরএনডি গণমাধ্যম গ্রুপকে এ কথা বলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।













