বাংলাদেশের বোলাররা কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালের উইকেটে চরম হতাশায় পুড়েছেন। স্বাগতিক উদ্বোধনী জুটিতেই ফাটল ধরাতে পারেননি তারা। কোনো উইকেট না হারিয়ে হেসে-খেলে ২৭৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ বছর পর ১০ উইকেটের লজ্জার হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
ম্যাচশেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, বোলাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। বোলাররা ভালো করলে এমন উইকেটে ২৮০ রান করেও জেতা সম্ভব। ইনিংসের শুরু থেকেই স্বাগতিক দুই ওপেনারকে চাপে ফেলতে পারেননি মাশরাফিররা। সহজ ব্যাটিং করে দুজনেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। মাশরাফি বলেন, আমরা একটা উইকেটও নিতে পারিনি এখানে। এখানে যে বোলিং করেছি, আমি নিশ্চিত সব বোলার চিন্তা করবে এটি নিয়ে। অবশ্যই এই বোলিং তাদের নিজেদের পরিকল্পনায় ছিল না। এখান থেকে অবশ্যই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
হতাশায় শুরু টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও। মাশরাফি জানান, এ ধরনের উইকেটে দুই পাশ থেকেই ভালো বোলিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুতে বা শেষে যদি কিছুটা সময়ের জন্য এভাবে বোলিং করতে পারলে হয়তো ব্রেক থ্রু পেত বাংলাদেশ। মাশরাফি বলেন, ৫-৬ উইকেট যদি ম্যাচের মাঝামাঝি পর্যায়ে নিতে পারতাম, তা হলে ম্যাচ আমাদের পক্ষেও থাকতে পারত। বোলিং দিকটা পুরোপুরি হতাশাজনক। ব্যাটিং দিকটা আজকে ভালো করেছে।
সব মিলিয়ে আমাদের দুটা দিকই বিশেষ করে এ ধরনের কন্ডিশনে ভালো না করলে আমাদের জন্য জেতা কঠিন হবে। তামিমের সঙ্গে কোচের কোনো মনমালিন্য হয়নি বলে জানান মাশরাফি। তিনি বলেন, যা হয়েছে আমরা মাঠে ভালো খেলতে না পেরে হেরেছি। বোলিং গ্রুপ খারাপ করেছে, ব্যাটিং গ্রুপ অবশ্যই ভালো করেছে। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখনো দুটি ম্যাচ আছে। অবশ্যই ভালো করার সুযোগ আছে। এখন কথা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু খেলোয়াড়দেরই এখান থেকে লড়াই করে বের হয়ে আসতে হবে।
ওয়ানডের আগের দিন অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে বাঁ পায়ে ব্যথা পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফেরেননি তামিম ইকবাল। এ দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে ছাড়াই মাঠে নেমে ব্যাটিংয়ে কিছুটা ভালো করলেও ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। মাশরাফি জানান, মোস্তাফিজ-তামিমের না খেলার বিষয়টি ম্যাচের আগের রাতেই হয়েছে। তামিমকে নিয়ে ফিজিও ঝুঁকি নিতে চান না। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিরবেন তামিম। মোস্তাফিজকে নিয়ে শংকা রয়েছে। মাশরাফি জানান, মোস্তাফিজ পুরো ওয়ানডে সিরিজেই খেলতে পারছেন না।