অনেকটা লড়াইয়ের পর বাংলাদেশের হার ২০ রানে

0
অনেকটা লড়াইয়ের পর বাংলাদেশের হার ২০ রানে

সাকিব আল হাসানের নিশ্চয় আফসোস হয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নির্ভীক ব্যাটিং দেখে। বাংলাদেশের ইনিংসের লেজে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের কী দুরন্ত ইনিংসই না খেললেন সাইফউদ্দিন।
অনেকটা লড়াইয়ের পর বাংলাদেশের হার ২০ রানে

তার লড়াকু ব্যাটিংয়েই ২০ রানে প্রথম টি ২০তে হারল বাংলাদেশ। টি ২০তে দ্বিতীয়বার অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের শুরু হল হার দিয়ে।

বৃহস্পতিবার ব্লমফন্টেইনের মানগুয়াং ওভালে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এসেছিলেন সাকিবদের উৎসাহ দিতে। শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। তিন ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান।

সেখান থেকে ১৭৫/৯। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯৫/৪-এর জবাবে। হাফ সেঞ্চুরিবিহীন বাংলাদেশের ইনিংসের টপ স্কোরার সেৌম্য সরকার (৪৭)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সাইফউদ্দিনের অপরাজিত ৩৯।

১৯৬ তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা করে দারুণ। প্রথম বলেই প্যাটারসনকে চার মারেন ইমরুল কায়েস। হেনড্রিক্সকে ছয় মারেন সেৌম্য সরকার।

তিন ওভারে বাংলাদেশ রান তোলে বিনা উইকেটে ৩৩। ওভারপ্রতি ১১ রান। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে হেনড্রিক্সের ফুল টসে ইমরুল ডিপ স্কোয়ার লেগে ধরা পড়েন মিলারের হাতে।

১১ বলে ১০ রান আসে ইমরুলের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশ তখন ১/৪৩। সাকিব আউট হন বল আকাশে তুলে দিয়ে। মিড-অফ থেকে দেৌড়ে গিয়ে কঠিন ক্যাচ নেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

ফ্রাইলিঙ্ক পেয়ে যান তার প্রথম টি ২০ আন্তর্জাতিক উইকেট। ৮ বলে ১৩ রান করেন সাকিব তিনটি চারের সহায়তায়। মুশফিকুর ক্রিজে এসেই ছক্কা হাঁকান ডুমিনিকে।

সৌম্য সরকার তিন রানের জন্য মিস করেন হাফ সেঞ্চুরি। ৩১ বলে পঁাচটি চার ও দুটি ছয়ে ৪৭ রান করে লেগ-বিফোর হন তিনি রিভিউয়ের মাধ্যমে। ১০ ওভারে বাংলাদেশ ৯৭/৩।

পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিক (১৩)। আবারও ক্যাচ নেন এবি। বোলার ফাঙ্গিসো। মুশফিককে অনুসরণ করতে একটুও সময় নেননি মাহমুদউল্লাহ।

পরের ওভারে আমলার ক্যাচে মাহমুদউল্লাহর (৩) উইকেট পান ফেলুওয়ায়ো। বাংলাদেশ তখন ৫/১০১। যেখান থেকে ৬/১২৪। এবার সাব্বিরকে সাজঘরে ফেরত পাঠান হেনড্রিক্স।

মিড-অফে ক্যাচ নেন ফেলুওয়ায়ো। মেহেদী হাসান মিরাজ ৮ বলে ১৪ রান করেন একটি করে চার ও ছয়ে। সেখান থেকে ১৭৫/৯। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২৭ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে