২০১৫ সালে শুরু হওয়া কলেরা প্রাদূর্ভাবে এখন পর্যন্ত ইয়েমেনে আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ পঁচিশ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯০০ তে। সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষনে দেখা যায়, দশ লাখেরও বেশী শিশু কলেরা আক্রান্ত এলাকায় পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। যাদের অধিকাংশের বয়স ৫ বছর বা তার আশে পাশে।
আন্তুর্জাতিক এনজিও সেভ দ্যা চিল্ড্রেন এর ইয়েমেন ইয়েমেন প্রতিনিধি ট্যামার কিরোলস বলেন, “পুষ্টিহীনতা ও কলেরা প্রাদূর্ভাব কমানো সম্ভব যদি আক্রান্ত এলাকায় প্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকে।” কিন্তু ইয়েমেনে চলা গৃহযুদ্ধের কারনে হাসপাতাল ক্লিনিক গুলো ধ্বংস্প্রাপ্ত বা বেহাল দশায় আছে।
সরকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা বেতন ভাতাদি পাচ্ছেন না প্রায় এক বছর ধরে। সেই সাথে স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ঔষধ ইত্যাদির সরবরাহও প্রায় শূন্যের কোঠায়। আরেক আন্তর্জাতিক এনজিও অক্সফাম এর হিসাব অনুযায়ী ২০১১ সালের হাইতিতে কলেরা বিপর্যয়ের পর এইবার ইয়েমেনের কলেরা বিপর্যয় ছয় লাখ ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড হয়ে থাকবে বলে জানা গেছে। বর্তমানে ইয়েমেনে সেভ দ্যা চিল্ড্রেন এর ১৪ কলেরা নিরাময় কেন্দ্র ও ৯০ টি রিহাইড্রেশন কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। বেশী আক্রান্ত অঞ্চল গুলোতে আরো বেশী স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বাস্থ্য সরবরাহ বাড়াতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্রঃ দ্যা গার্ডিয়ান